ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা
অলিম্পিকের বিশ্বমঞ্চে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ছাপিয়ে গেছে দুই বন্ধুর নিখাদ বন্ধুত্বের কাছে। পরশু টোকিও অলিম্পিকের হাই জাম্প ইভেন্টে সোনা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দুই বন্ধু ঈসা বারশিম ও জিয়ানমারকো তামবেরি। আর তাতেই এবারের অলিম্পিকে নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। যা ১১৩ বছরের অলিম্পিকের ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি।
কাতারের তামবেরি ও ইতালির বারশিম কাল হাই জাম্পের ফাইনালে সোনা জেতার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। দু'জনেই সমান ২.৩৭ মিটার লাফান। পরে ২.৩৯ মিটার লাফ দিতে গিয়ে দুজনেই তিনবার ব্যর্থ হন। তবে ফাউল করেননি দুজনের একজনও। যখন কোনোভাবেই দুজনকে আলাদা করা যাচ্ছিল না তখন অলিম্পিকের এক কর্মকর্তা এসে তাদের অফ জাম্পের প্রস্তাব দেন।
সেই কর্মকর্তাকে বারশিম জিজ্ঞেস করেন, ‘আমরা দুজন কি দুটি সোনার পদক পেতে পারি না?’ শেষ পর্যন্ত বারশিমের চাওয়াই পূর্ণ হয়েছে। ২.৩৭ মিটার উঁচুতে লাফিয়ে সোনা পদক ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তামবেরি-বারশিম। এই ইভেন্টে রুপা পাননি কেউই। ব্রোঞ্জ জিতেছেন নেদাসেকাও মাক্সিম।
যুগ্মভাবে সোনা জেতা বারশিমের সঙ্গে তামবেরির বন্ধুত্ব বেশ পুরোনো। একই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায় দুজন দুজনকে আগে থেকেই চিনতেন। পদক ভাগাভাগির পর তামবেরি বলেছেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না এমন কিছু ঘটেছে। বন্ধুর সঙ্গে সোনা পদক ভাগাভাগি করে নেওয়ার এই অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম।’ আরেক বন্ধু বারশিম বলেছেন, ‘নিজের পারফরম্যান্সের কারণে আমি এই সোনার পদক দাবি করতেই পারি। তামবেরিও একই দাবি করতে পারে। সেও আমার মতো কাজ করেছে। এটাই আসলে স্পোর্টস।’