২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে সোনাটা হাত ফসকে গিয়েছিল অল্পের জন্য। সেই আক্ষেপ দূর করার সুযোগ পেলেন চার বছর পরই। ২০১৮ গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে আবারও ফাইনালে উঠলেন বাংলাদেশি শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি। পরিস্থিতি এমন, অলৌকিক কিছু না হলে এবার আর সোনা হাতছাড়া হচ্ছে না তাঁর। কিন্তু শেষ শটে সেই ভুলটাই করলেন বাকি। সোনার হাতছানি পেতে পেতেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো রুপার পদক নিয়ে ফিরতে হলো দেশসেরা শুটারকে।
তিন বছর পর আরেকটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে যাচ্ছেন বাকি। এবারের চ্যালেঞ্জ কমনওয়েলথের চেয়েও বড়। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশের একমাত্র ভরসা হয়ে টোকিও অলিম্পিকে লড়বেন কমনওয়েলথ গেমসে দুই রুপা ও এক ব্রোঞ্জজয়ী শুটার। ২৫ জুলাই টোকিওর আসাকা শুটিং রেঞ্জে নামার আগে বাকি খুঁজছেন তিন
বছর আগে কমনওয়েলথের ফাইনালে করা সেই ভুলের কারণ!
‘ঠিক কী কারণে আমার শেষ শটটা লক্ষ্যভেদ করেনি, ভুল শোধরাতে অনেক কাজ করেছি। মনোযোগের অভাবেই হোক আর যে কারণেই হোক; আসলে ঠিক কী কারণ ছিল কোচদের জিজ্ঞেস করেছি। দিনের পর দিন কাজ করেছি। এবার আশাবাদী। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে আর সেই ভুল হবে না। খেলতে নামলেই বুঝব আসলে কতটা উন্নতি করেছি।’ টোকিও যাওয়ার আগে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন বাকি।
বাংলাদেশ থেকে এবারের অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন ছয় অ্যাথলেট। তিরন্দাজ রোমান সানা বাদে বাকি পাঁচ অ্যাথলেট অলিম্পিকে খেলবেন ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ নিয়ে। বাংলাদেশ দলে বাকিই একমাত্র অ্যাথলেট, যাঁর আছে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে খেলার অভিজ্ঞতা। সেবার কোয়ালিফায়ারে ৬২১.২ স্কোর গড়ে ফাইনালে ওঠা হয়নি বাকির।
সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সে এবারের অলিম্পিকে বাংলাদেশকে প্রথম পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে আর্চারি। খানিকটা আড়ালে থেকেই দেশে অলিম্পিকের প্রস্তুতি সেরেছেন বাকি। অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিতে চেয়েছিলেন জার্মানি। দেশের লকডাউনে সেই পরিকল্পনা কাজে লাগানো যায়নি।
নিজ দেশে যতটুকু অনুশীলন করেছেন অলিম্পিকের মঞ্চে সেই পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারলেই খুশি বাকি। বলছেন, ‘অবশ্যই স্বপ্ন বড়। তবে অলিম্পিকে পদক নিয়ে চিন্তা করছি না। আমার চিন্তা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে। অনুশীলনে যে স্কোরটা গড়ি, সেটা ধরে রাখতে পারলেই ফাইনালে খেলতে পারব। জার্মানি যেতে পারিনি, আফসোস নেই। নিজের দক্ষতা অনুযায়ী স্কোর গড়তে পারলেই কাজ হয়ে যাবে।’