সেমিফাইনালের মতো ফাইনালের শুরুতেও দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন শেলি-অ্যান ফ্রেজার। তাঁর ঠিক পাশের লেনে জ্যামাইকান সতীর্থ এলেইন থম্পসন-হেরাহ লেগে ছিলেন ঠিক আঠার মতো! ৭০ মিটার পর্যন্ত দুই স্প্রিন্টারের টেক্কা চলল সমান সমান। শেষ ৩০ মিটারে এসে নিজের খেল দেখালেন থম্পসন-হেরাহ। ৩৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে ধরে রাখলেন নিজের সাম্রাজ্যও।
গতকাল পর্যন্ত নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অলিম্পিক রেকর্ডটা নিজের দখলে রেখেছিলেন আমেরিকান স্প্রিন্টার ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ-জয়নার। ১৯৮৮ সিউল অলিম্পিকে তাঁর গড়া ১০.৬২ সেকেন্ডের রেকর্ড টিকে ছিল ৩৩ বছর। ১০.৬১ সেকেন্ড সময়ে সেই রেকর্ড ভেঙে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আবারও সোনা জিতেছেন এলেইন থম্পসন-হেরাহ। অলিম্পিক রেকর্ড হারালেও ফ্লোরেন্সের ১০.৪৯ সেকেন্ডে গড়া বিশ্ব রেকর্ড ৩৩ বছর ধরে অক্ষত। ১৯৮৮ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে এই রেকর্ড গড়েছিলেন আমেরিকান স্প্রিন্টার।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আজ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তিন পদকের সবই গেছে জ্যামাইকানদের দখলে। ১০.৭৪ সেকেন্ডে রুপা জিতেছেন শেলি-অ্যান ফ্রেজার। ১০.৭৬ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জিতেছেন আরেক জ্যামাইকান শেরিকা জ্যাকসন।
অথচ রেকর্ড ভেঙে সোনা জিতবেন এমনটা হয়তো নিজেও কল্পনা করতে পারেননি থম্পসন-হেরাহ। পাঁচ বছর ধরে ভুগছেন গোড়ালির চোটে। আজও সেই চোট নিয়েই খেলেছেন। ২০১৯ দোহা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন এই চোটের কারণেই। বছরের শুরুতে জ্যামাইকান অলিম্পিক ট্রায়ালে শেলি-অ্যান ফ্রেজারের পেছনে থেকে হয়েছিলেন তৃতীয়। নিজেদের দেশেই হয়েছেন সমালোচনার শিকার।
সোনা জয়ের পর সেসব সমালোচনাকে অনুপ্রেরণা বলছেন থম্পসন-হেরাহ। বিবিসি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘আমি সামনে পেছনে চোটে ভুগছি। আমাকে নিয়ে করা সব সমালোচনাই আমার চোখে পড়েছে। এসব সমালোচনা-হারকে আমি আমার অনুপ্রেরণা হিসেবেই মেনেছি।’