নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্রীড়াঙ্গনে চলছে সংস্কার। যার মধ্যে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাচনও আসন্ন। তবে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আলোচনার জন্ম দিল খসড়া ভোটার তালিকা। যেটা বিওএ তৈরি করেছিল। যেখানে ফেডারেশনগুলো থেকে অপসারিত নয়জন সভাপতির নামও ছিল।
৯ জনের তালিকা পরবর্তীতে কাটছাঁট করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আর সেই কাটছাঁটে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন বর্তমান মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজাও। এ দিকে পাল্টা চিঠিতে এনএসসিকে বিষয়টি বিবেচনার কথা জানায় বিওএ। সেই চিঠির সূত্র ধরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাফ জানিয়ে দেয়, ২০২১ সালে শাহেদ রেজার কাউন্সিলর হওয়ার প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আর খতিয়ে দেখার জন্য গত ২১ অক্টোবর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে বিওএ এর কাছে এই সংশ্লিষ্ট প্রমাণক প্রেরণের অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া না পাওয়ায় ২৩ অক্টোবর পুনরায় আরেক চিঠিতে প্রমাণক পাঠানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে এনএসসি।
এর আগে বিওএ ৭১ জনের খসড়া তালিকা করেছিল। কিন্তু নানা অভিযোগ ও আপত্তি থাকায় এনএসসি সেটি কমিয়ে ৫২ জন করে। খসড়া তালিকা বিতর্কিত হওয়ায় মহাসচিব শাহেদ রেজা এবং সহসভাপতি শেখ বশির আহমেদকে আলাদা চিঠি দিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে সুশাসনের বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন ক্রীড়া পরিষদ সচিব আমিনুল ইসলাম।
বিওএ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব আমিনুল ইসলাম। ‘সর্বশেষ মহাসচিব’ ক্যাটাগরিতে শাহেদ রেজা ভোটার হতে পারেন না বলে অভিমত তাঁর।
যত দূর জানা গেল, বিওএর সভাপতির চেয়ারে বসবেন বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এই পদে তিনি একাই মনোনয়নপত্র কিনেছেন এবং জমা দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক কিছু প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনই তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।