সেমিফাইনালে ওঠার পরই পদক জয় নিশ্চিত হয়েছিল লভলিনা বড়গোহাইয়ের। কিন্তু কেবল ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট থাকতে চাননি ভারতের এই নারী বক্সার। বলেছিলেন, সোনা জিতেই দেশে ফিরতে চান তিনি। তাঁর সেই ইচ্ছা শেষ পর্যন্ত পূরণ হলো না। অলিম্পিকের সেমিফাইনালে হেরে এখন ব্রোঞ্জ নিয়েই দেশে ফিরতে হবে তাঁকে।
অলিম্পিকের মঞ্চে এটি ভারতের তৃতীয় পদক। ভারতের হয়ে অন্য দুটি পদক এসেছে ভারোত্তোলক মীরাবাঈ চানু ও ব্যাডমিন্টন তারকা পি ভি সিন্ধুর হাত ধরে। সে তালিকায় এবার যুক্ত হলো লভলিনার নামও। অলিম্পিকে বক্সিং ইভেন্টে সেমিফাইনালে হারলেও পদক পাওয়া যায়। তাই আজকে হারার পরও পদক বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে না লভলিনাকে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লভলিনা হেরেছেন নারী বক্সিংয়ের অন্যতম সেরা তারকা তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনালি কাছে।
লভলিনার অলিম্পিকের মঞ্চে আসার গল্পটা এত সহজ ছিল না। বাবা ছিলেন চা বাগানের ছোট পদে কাজ করা কর্মচারী। মাত্র ২৫০০ টাকা বেতন পেতেন। মেয়ের মার্শাল আর্ট শেখার শখ পূরণ করতে চড়া সুদেও লোন করতে হয়েছিল তাঁকে। যা পরে কিস্তিতে শোধ করতে হয়েছিল।
এভাবেই স্বপ্নের পথে যাত্রাটা শুরু করেছিলেন লভলিনা। এখন সেই টাকায় যেন এবার বহু গুনে ফির আসল। কেবল বাবার মুখ নয়, উজ্জ্বল করল ভারতের নামও।