হোম > খেলা > অন্য খেলা

সহসভাপতির আপত্তিপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ সাঈদের বিরুদ্ধে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে ১৯ জুন। নির্বাচনের আগে আজ দুই কাউন্সিলরের আপত্তি পত্র জমা নিয়ে হইচই হয়ে গেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের বাধায় সহসভাপতি সাজেদ এ আদেল ও সাবেক হকি খেলোয়াড় জহিরুল ইসলাম মিতুল আপত্তি পত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। 

প্রথম বিভাগ হকির দুই ক্লাব হকি ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ড স্পোর্টিংয়ের সভাপতির দায়িত্বে আছেন হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি ও সাবেক হকি খেলোয়াড় সাজেদ আদেল। হকি ইউনাইটেডের কাউন্সিলর সাজেদ আদেল ও কম্বাইন্ড স্পোর্টিংয়ের কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মিতুল। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় হকি ইউনাইটেডের কাউন্সিলর হিসেবে নাম আসে আনোয়ার পারভেজের এবং কম্বাইন্ড স্পোর্টিংয়ের কাউন্সিলর হিসেবে আসে আবদুর রশিদের নাম। এই বিষয়েই আপত্তি জানাতে আজ দুপুরে ক্রীড়া পরিষদে যান সাজেদ আদেল ও জহিরুল ইসলাম মিতুল। সেখানেই তাঁরা বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের বাধায় আপত্তিপত্র জমা দিতে পারেননি বলে জানা গেছে। 

জহিরুল ইসলাম মিতুল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘সাড়ে ১১টার একটু আগে আমি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের লিফটের ৮ তলায় নামি। নামার সঙ্গে সঙ্গে ৪০-৫০ জন লোক আমাদের ঘিরে ধরে। টানাটানি শুরু করে। আমাদের বলা হয়, আপনারা ভেতরে যেতে পারবেন না। কাগজ জমা দিতে পারবেন না। ভেতরে সাঈদ ভাই ছিলেন, তিনি আসেন। তিনি এসে বলেন, ওপরের নির্দেশ আপনারা কাগজ জমা দিতে পারবেন না! আপনারা আপত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন না।’ 

তাদের কাছ থেকে জোর করে আপত্তিপত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন সাবেক খেলোয়াড় মিতুল। তিনি বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ পর সাজেদ ভাই আসেন। তাঁকেও সাঈদ ভাই বলেন, আপনারা কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন না। ওপরের নির্দেশ আছে। সাজেদ ভাই বলেন, আমরা কেবল আপত্তিপত্র জমা দিতে এসেছি। এখানে উকিল নোটিশ আছে। আপনারা আমার সম্পত্তি নিয়ে যাবেন সেটা তো হতে পারে না। এমন সময় একজন থাবা মেরে আমাদের কাগজ নিয়ে যায়। আমরা দুইজন হকির সাবেক খেলোয়াড়। যেভাবে আমাদের নাজেহাল করা হয়েছে তাতে হকির ইতিহাসই থাকবে না। হকিই বাঁচবে না। আমি মিতুল, আমাকে বলতে হবে আমি কোনো দিন হকিই খেলিনি।’ 

জহিরুল ইসলাম মিতুলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যোগাযোগ করা হয় হকির সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের সঙ্গে। তিনি ফোন ধরেননি। তবে একটি গণমাধ্যমকে তিনি এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন! সাঈদের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে মিতুলের পাল্টা দাবি, ‘তিনি (সাঈদ) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বসে চা খেয়েছেন, শিঙারা খেয়েছেন। কত বড় মিথ্যা কথা!’ 

আপত্তিপত্র ছিঁড়ে ফেলায় পরে তারা ই-মেইলে আপত্তিপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানালেন মিতুল। তবে মেইল শেষ পর্যন্ত মূল্যায়ন করা হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় মিতুল। আগামীকাল আপত্তির বিষয়গুলো নিয়ে হতে পারে শুনানি। সেই শুনানিতে তাঁরা ডাক পাবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কা তাদের মধ্যে।

শেষ আটে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভারত ছেলেদের নেপাল

‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রেই থেকে যাব’

‘সবাই শুধু আশা দেখায়’

নতুন বছরে লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া

হকি ফিরতেই হট্টগোল

নীড়ের কাছে ধরাশায়ী ৪ গ্র্যান্ডমাস্টার

১৬ বছর ‘দুপুরে খাননি’ জিমি

বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে হকিতে বিদেশি কোচ আনার পরিকল্পনা

৮ বছর যেতেই ১০ কোটি টাকার ফ্ল্যাডলাইটে ত্রুটি

কাবাডির সেমিফাইনালের টিকিট পেল যারা

সেকশন