প্যারিস অলিম্পিক গেমসের জিমন্যাস্টিকসের তিন ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন সিমোন বাইলস। আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসের দলগত এবং অল-অ্যারাউন্ড ইভেন্টে জয়ের পর ভল্টের ফাইনালে জিতেও সোনা জয়ের হ্যাটট্রিক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই জিমন্যাস্ট। এই সাফল্যে তাঁর বাকি দুটি ইভেন্ট ব্যালান্স বিম এবং ফ্লোর এক্সারসাইজেও তাঁর সাফল্যে নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন সমর্থকেরা। তবে নিজের শেষ দুটি ইভেন্টে সোনা জিততে পারেননি সর্বকালের অন্যতম সেরা এই জিমন্যাস্ট। ব্যালান্স বিমে পঞ্চম হওয়া বাইল নিজের শেষ ইভেন্ট ফ্লোর এক্সারসাইজে জিতেছে রুপা।
মেয়েদের ব্যালান্স বিমে সোনা জিতেছেন ইতালির এলিস ডি’আমাতো। মেয়েদের জিমন্যাস্টিকসে এটাই কোনো ইতালিয়ান প্রতিযোগীর সোনা জয়। স্কোর করেছেন ১৪.৩৬৬। ১৪.১০০ স্কোর করে রুপা জিতেছেন চীনের ঝাউ ইয়াকিন। ১৪.০০০ স্কোর নিয়ে ব্রোঞ্জ ইতালির মানোলো এসপোসিতো।
মেয়েদের ব্যালান্স বিমে নিজের সেরাটা দিতে বাইলস তো পারেননি। একবার তো লাফ দিয়ে ঠিকমতো নামতেও ব্যর্থ। এই ইভেন্টে পঞ্চম হওয়া বাইলসের স্কোর ১৩.১০০।
তবে শেষটা এতটা খারাপ হয়নি বাইলসের। সোনা জিততে না পারলেও ফ্লোর এক্সারসাইজে জিতেছেন রুপা। ১৪.১৬৬ স্কোর গড়ে সোনা জিতেছেন ব্রাজিলের রেবেকা আন্দ্রাদে। এই ইভেন্টে এটাই প্রথম সোনা কোনো ব্রাজিলিয়ান প্রতিযোগীর। দ্বিতীয় হওয়া বাইলসের স্কোর ১৪.১৩৩। ব্রোঞ্জ জিতেছেন বাইলসের স্বদেশি জর্ডান চিলেস (১৩.৭৬৬)।
রুপা জিতে প্যারিস অভিযান শেষ করা বাইলসের অলিম্পিক পদকের সংখ্যা দাঁড়াল ১১—যার ৭টি সোনা, ২টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ