করোনা মহামারির মধ্যে অলিম্পিক আয়োজন করে এমনিতেই সমালোচনার মুখে আয়োজকেরা। এর মধ্যে ২৩ জুলাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে খাবার নষ্টের বিষয়টি সামনে এলে আবার তোপের মুখে পড়তে হয় তাদের। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে নিজেদের দায় স্বীকার করেছেন টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকেরা।
এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো দর্শক। ছিলেন শুধু স্বেচ্ছাসেবীরা। অনুষ্ঠান শেষের পর স্টেডিয়ামের বাস্কেটে পড়ে থাকতে দেখা যায় হাজার হাজার লাঞ্চ বক্স ও রাইস বোল। টোকিও ব্রডকাস্টিং সিস্টেম টেলিভিশন এ নিয়ে গত সপ্তাহে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
প্রতিবেদনটি আয়োজকদের বেশ বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। টোকিও অলিম্পিকের আয়োজনকে টেকসই করার যে উদ্যোগ তাও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। টোকিও অলিম্পিকের নিজস্ব ওয়েব পেজ বলেছে যে ‘টোকিও ২০২০ এর লক্ষ্য বর্জ্যের বিরূপ প্রভাবকে হ্রাস করা।’
টোকিও ২০২০ এর মুখপাত্র মাসা টাকায়া বিষয়টির দায় স্বীকার করে বলেছেন, ‘যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় খাবার উদ্বৃত্ত ছিল তা সত্য।’ অলিম্পিক আয়োজক কমিটির এই সদস্য জানিয়েছেন, এই সপ্তাহ থেকে প্রত্যেক ভেন্যুতে যতটা দরকার ঠিক ততখানি খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানের পর বাড়তি খাবারগুলো পশুদের খাওয়াতে ও অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।