শেষ রক্ষা হলো না বরিস বেকারের। সম্পদ গোপন রেখে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার দায়ে আড়াই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে জার্মান টেনিস কিংবদন্তির।
৬ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী বেকার ২০১৭ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ব্রিটেনের আদালতে। বেকার জানিয়েছিলেন, আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু তদন্তে দেউলিয়া আইন ভঙ্গের প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে আড়াই বছরের জেল দিয়েছে আদালত। তবে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, ১৩ মাস জেল খাটতে হবে বেকারকে।
২০১৪ সালে অর্থনৈতিক পতন শুরু হয় বেকারের। সে বছর আর্থিক দুরবস্থায় পড়লে ১২ লাখ পাউন্ড (১১ কোটি টাকারও বেশি) ২৫ শতাংশ সুদে ধার নিয়েছিলেন ধনকুবের জন কডওয়েলের কাছ থেকে। পরের বছরই একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৩.৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৩৮ কোটি টাকারও বেশি) ধার নেন।
আদালতকে বেকার তখন জানিয়েছিলেন, স্পেনের মায়োর্কায় কেনা তাঁর সম্পত্তি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন দেনা শোধ করার জন্য। এ ছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে এভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করায় ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আয়ও কমেছে।
বেকার আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর জেতা অনেক ট্রফি, পদক ও স্মারক হারিয়ে গেছে। কোথায় ট্রফি রেখেছেন, তা জানতে চাইলে বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে কোথায় ট্রফিগুলো রয়েছে, তা মনে রাখার মতো মানসিক অবস্থা নেই।’
যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছে জেতাটাই মুখ্য, শিরোপা নয়। তাই খেলোয়াড়ি জীবনে বেকার সে দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।