এর চেয়ে ভালো একটা দিন আর কী হতে পারত মনফিলস-সভিতোলিনা দম্পতির জন্য! অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আজ দুজনেই জিতেছেন। আর তাঁদের জেতাটা চলতি টুর্নামেন্টের বড় দুটি অঘটনও!
বোঝাই যাচ্ছিল, একটা অস্বস্তিতে আছেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। চিকিৎসা বিরতি নিয়ে ইনহেলার সেবন করতেও দেখা গেল। তারপরও তৃতীয় রাউন্ডে সরাসরি সেটে হারিয়ে দিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস ম্যাচাককে।
বয়স মাত্র ২৩। এই বয়সেই খেলে ফেলেছেন ১১টি গ্র্যান্ড স্লাম। অবশ্য ইভা লিসের গ্র্যান্ড স্লাম মানেই প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেওয়া। শুধু একবারই প্রথম রাউন্ডের বৈতরণি পেরিয়ে উঠেছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। এবং সেটি ২০২৩ সালে ইউএস ওপেনে।
সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম, ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসের ট্রফি কিংবা হাজার মাস্টার্স—কোন রেকর্ডেই না আছেন তিনি! সবচেয়ে বেশি সপ্তাহ র্যাঙ্কিং শীর্ষে থাকার রজার ফেদেরারের রেকর্ডটিও ভেঙে দিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। এবার রেকর্ড বইয়ের আরও একটা পাতায় সুইস কিংবদন্তিকে আড়াল করে দিলেন সার্বিয়ান তারকা। নিজের করে নিল
টেনিসের ‘ব্যাডবয়’ খ্যাত অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরিওস মাঝে মধ্যেই এমনটা করতেন। কালে ভদ্রে বুলগেরিয়ার গিগর দিমিতভ থেকে শুরু করে সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচেরও কোর্টে র্যাকেট ভাঙার নজির আছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এবার র্যাকেট ভাঙলেন দানিল মেদভেদেভ। শুধু র্যাকেটই নয়, র্যাকেট দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দিয়
একটা সময় ছিল, যখন ধরেই নেওয়া হতো ‘বড় তিন’-এর কেউ না কেউ শিরোপা জিতবে। কিন্তু কালের আবর্তে বড় তিনের সেই প্রভাব আর নেই। রজার ফেদেরারের পথ ধরে টেনিস ছেড়েছেন রাফায়েল নাদালও। বড় তিনের শেষ প্রতিনিধি
রজার ফেদেরারের ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। আর কোনো শিরোপা তো নয়ই, কখনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালেই খেলা হয়নি গায়েল মনফিলসের। তবে রেকর্ড বইয়ের একটা পাতায় কিন্তু কিংবদন্তি রজার ফেদেরারকেও ছাড়িয়ে গেছেন মনফিলস।
২০২৫ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের বাছাইপর্ব এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে নোভাক জোকোভিচ মাঠে নামছেন পরশু। মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় নামার আগে তিনি ৩ বছর আগের ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। ২৪ গ্র্যান্ড স্লামজয়ী টেনিস তারকা অস্ট্রেলিয়ার খাবারে ‘বিষক্রিয়ার’ অভিযোগ তুলেছেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে ডমিনিক থিম, ক্যাসপার রুড, দানিল মেদভেদেভরা উঠে আসার চেষ্টা করলেও ‘বড় তিন’ তথা ফেদেরার-নাদাল-জোকোভিচের কারণে সেভাবে ডানা মেলতে পারেননি। তবে দুই তরুণ স্পেনের কার্লোস আলকারাস ও ইতালির ইয়ানিক সিনার বিদায়ী এই বছরে বিশ্ব টেনিসে পালাবদলের গানই শুনিয়েছেন। বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লা
থামল রাফায়েল নাদালের কিংবদন্তিতুল্য টেনিস ক্যারিয়ার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ডেভিস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিদায়ে ২২ গ্র্যান্ড স্লামের মালিকও শেষ দেখে ফেললেন। নাদালও শেষটা রাঙাতে পারেননি। সিঙ্গেলসে ৬-৪, ৬-৪ গেমে হেরেছেন নেদারল্যান্ডসের বোতিচ ফন দে জান্ডশুল্ফের কাছে...
রাজশাহীতে এবার হচ্ছে না আইটিএফ টেনিস
নভেম্বর চলে যাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নাকি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন টেনিস কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক কমিটির লক্ষ্য শুধু নির্বাচন আয়োজন। টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো ‘বড়’ সিদ্ধান্ত তা
সাংহাই মাস্টার্সের ফাইনালে উঠেছেন দুই প্রজন্মের দুই তারকা, ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ ও বিশ্ব টেনিসের নতুনের কেতন ওড়ানো ইতালির ইয়ানিক সিনার।
ইঙ্গিতটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন—২০২৪-ই সম্ভবত তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ বছর। এবার শেষের চূড়ান্তও করে ফেলেছেন রাফায়েল নাদাল। ডেভিস কাপের ফাইনাল খেলেই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
কথায় আছে, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’। ‘পাপ’ যদি ইয়ানিক সিনার করেই থাকেন শাস্তি পেতে হবে তাঁকেও। ডোপ কেলেঙ্কারি থেকে বেঁচে গত ইউএস ওপেন জিতলেও ইতালির এই টেনিস তারকার ডোপ কেলেঙ্কারি নতুন করে সামনে এনেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)।
এবারই প্রথম খেলতে নেমেছিলেন লেভার কাপ। আর তাতেই বাজিমাত কার্লোস আলকারাসের। লেভার কাপ একক পারফরম্যান্সের টুর্নামেন্ট না হলেও ইউরোপকে শিরোপা জেতাতে কোর্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ডই। একক ও দ্বৈত মিলিয়ে মোট ৯টি ম্যাচ খেলেছেন—জিতেছেন আটটিতেই। বাকি বিশ্ব দলের টেলর ফ্রিটজকে ৬-২, ৭-৫ গেম
গত বছর উইম্বলডনে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে দেওয়ার পর টেনিস পণ্ডিতেরা বিশ্ব টেনিসে ‘আলকা-রাজ’-এর শুরুর কথা বলেছিলেন। এবারের ইউএস ওপেনে যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছেন, তবু কার্লোস আলকারাস বোদ্ধাদের পূর্বানুমানের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন বছরের ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন জিতে।