ক্রীড়া ডেস্ক
কথায় আছে, ‘নারী কুড়িতেই বুড়ি’। তবে অনেকের ক্ষেত্রে কথাটি একেবারে নিরর্থ। ইউক্রেনের এলিনা সভিতোলিনার কথাই ধরুন। ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে নিজেকে কিশোরী মনে হচ্ছে ২৮ বছর বয়সী এই ইউক্রেনিয়ানের। বয়স যেন প্রায় অর্ধেক কমে গেছে তাঁর।
অনেকে মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার পর খেলাধুলার জগৎকে বিদায় জানান। সভিতোলিনা সেখানেও উল্টো। মা হওয়ার পর রোলাঁ গারোতে এসে উঠে গেলেন শেষ আটে। ক্লে-কোর্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পর এখন তাঁর নিজেকে মনে হচ্ছে ১৭ বছর বয়সী চপলা কিশোরী।
সাবেক তৃতীয় বাছাই সভিতোলিনা কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছেন গতকাল ৯ নম্বর বাছাই রাশিয়ার মেয়ে দারিয়া কাসাতকিনাকে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৫) গেমে হারিয়ে। সেমিফাইনাল উঠতে হলে আগামীকাল তাঁকে জিততে হবে দ্বিতীয় বাছাই আরিয়ানা সাবালেঙ্কার বিপক্ষে। এই বেলারুশিয়ান শেষ আট নিশ্চিত করেন আমেরিকার স্লোয়ান স্তেফেন্সকে হারিয়ে।
সাবালেঙ্কা বছর শুরু করেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ফ্রেঞ্চ ওপেনেও এসেছেন ফেবারিট হিসেবে। তবে ফর্মে থাকা ৩ বছরের ছোট সাবালেঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে বেশ নির্ভার সভিতোলিনা, ‘চাপে থাকার যে অভ্যাস, সেটা আমার অনুভূত হচ্ছে না।’
গত অক্টোবরে মা হয়েছেন সভিতোলিনা। ফরাসি টেনিস তারকা গায়েল মনফিলস ও তাঁর সংসারে আছে স্কাই নামে এই কন্যাসন্তান। গত এপ্রিলে টেনিসে ফেরার পর এটি সভিতোলিনার ষষ্ঠ টুর্নামেন্ট। ফের কোর্টে ফেরার কথা এক বছর কল্পনাও করেননি ২০১৯ সালের উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালিস্ট। তবে এবার ক্যারিয়ার প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ছুঁয়ে দেখতে চান তিনি, ‘অবশ্যই, আমি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে চাই। এটাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
নিজেকে এ জন্য বেশ ফিট রাখছেন সভিতোলিনা। লড়াইয়ের আগে বাহ্যিক চাপ নিতে চান না জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এখন আমার বয়স প্রায় ১৭ বছর আর একেবারে নতুন হিসেবে ট্যুরে এসেছি।’