ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়াঙ্গনের সুখী দম্পতিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে শোয়েব মালিক-সানিয়া মির্জার নাম ওপরের দিকেই থাকার কথা। গত পরশু পাকিস্তানি ক্রিকেটার আর ভারতীয় টেনিস তারকা সংসার জীবনের এক যুগ পূরণ করেছেন।
৪০ পেরিয়েও শোয়েব এখনো খেলে চলেছেন। ৩৫ বছর বয়সী সানিয়া অবশ্য এ মৌসুম শেষেই টেনিসকে বিদায় বলবেন। পরিবারকে সময় দিতেই তাঁর এ সিদ্ধান্ত।
২০১৮ সালে শোয়েব-সানিয়ার ঘর আলোকিত করেছে ছেলে ইজহান মালিক মির্জা। সাড়ে তিন বছর বয়সী সন্তানের জন্ম নিয়ে শোয়েব এবার দিলেন মজার তথ্য। ইজহান যাতে ফর্সা হয়, সে জন্য গর্ভাবস্থায় সানিয়াকে নাকি বেশি বেশি আপেল খাওয়াতেন তাঁর মা (শোয়েবের শাশুড়ি)।
পাকিস্তানের টিভি উপস্থাপিকা নিদা ইয়াসিরের অনুষ্ঠান ‘শান-ই-সুহুরে’ কদিন আগে অভিনেত্রী উশনা শাহের উপস্থিতিতে শোয়েব এ কথা বলেন। সেখানে সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে ফর্সা ত্বকের গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজের ধারণা নিয়ে আলোচনা উঠলে তিনি বলেন, ‘আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে প্রচুর আপেল খেতে বাধ্য করেছেন, যাতে আমাদের সন্তান ফর্সা হয়।’
এ সময় উশনা বলেন, ‘কিন্তু তোমার ছেলে তো ফর্সা।’ জবাবে শোয়েব হেসে বলেন, ‘হ্যাঁ, খুবই ফর্সা। সব কৃতিত্ব আপেলের।’
শোয়েবের এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করে উশানা বলেন, ‘কালো ত্বককে অবজ্ঞা করে ফর্সা ত্বককে চূড়ান্ত সৌন্দর্যের মান হিসেবে বিবেচনা করা অযৌক্তিক। আমি মনে করি কালো মানুষও সুদর্শন। আমার ক্রাশ কোবে ব্রায়ান্টও (প্রয়াত বাস্কেটবল কিংবদন্তি) কালো ছিলেন।’
ব্রিটিশ শাসনামল থেকে ফর্সা ত্বককে সৌন্দর্যের মানদণ্ড ধরা হলেও পাকিস্তানে এ ধারণা বদলাতে শুরু করেছে। এখন অনেকেই মনে করেন, সৌন্দর্যের সঙ্গে গায়ের রঙের কোনো যোগসূত্র নেই।