ঢাকা: নারীদের টেনিসে একক আধিপত্য যেন বিলুপ্তির পথে। উইম্বলডনে গত সাত বছরে ভিন্ন ভিন্ন ছয় চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলেছে। শুধু সেরেনা উইলিয়ামসই এ সময়ে দুবার উইম্বলডন জিতেছেন। টেনিসের মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে সেরেনা সব মিলিয়ে শিরোপা জিতেছেন ৭ বার। টেনিসে একক আধিপত্যের সর্বশেষ উদাহরণও সেরেনা। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এই মার্কিন তারকা।
উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি (২৩) গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেরেনা গত চার বছরে একটি শিরোপাও জিততে পারেননি। এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনেও চতুর্থ রাউন্ডে থেমে গেছে তাঁর যাত্রা। ২১ বছর বয়সী এলেনা রিবানিকার কাছে ৩-৬ ও ৫-৭ গেমে হেরেছেন তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী এই তারকা। তাঁর এই হতাশাজনক বিদায়ের পর অনেকের প্রশ্ন, সেরেনা কি তবে ফুরিয়ে গেলেন?
রোঁলা গাঁরোতে সেরেনার এবারের পারফরম্যান্স ছিল বেশ হতাশাজনক। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে অভ্যস্ত সেরেনা যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। অনেক সময় বলের কাছাকাছি পৌঁছতে ব্যর্থ হতে দেখা গেছে তাঁকে। রিটার্নগুলো ছিল বেশ ত্রুটিপূর্ণ। সব মিলিয়ে অজেয় সেরেনা এখন হারিয়ে যাওয়া এক নাম।
২০১৯ সালেও দুটি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠেন সেরেনা। উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে সিমোনা হালেপের বিপক্ষে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেননি। একইভাবে কানাডিয়ান তারকা বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে। এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও সেরেনার যাত্রা থামে সেমিফাইনালে। আরও একবার সেরেনার হৃদয় ভাঙেন ওসাকা। সেরেনার এ হারকে অনেকেই রাজত্ব হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবেও দেখছেন।