‘এসেছে নতুন কিশোরী, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান’–লেইলাহ ফার্নান্দেজ, এমা রাদুকানুদের খেলা দেখে কি একবারের জন্য হলেও এমনটা মনে হচ্ছে না উইলিয়ামস বোনদের?
টেনিসের রানি সেরেনা উইলিয়ামস কিংবা একসময়কার সম্রাজ্ঞী ভেনাস উইলিয়ামসের দিন অনেক আগেই ঘনিয়ে এসেছে। টেনিসকে দেওয়ার মতনও কিছু বাকি নেই। তবে তাঁরা ফুরিয়ে যাওয়ার পথে থাকলেও নারী টেনিসকে এগিয়ে নিতে সঠিক দিশা দেখাবেন লেইলাহ ও রাদুকানু—এমনটা ভাবাই যায়।
এবারের ইউএস ওপেনের শুরু থেকেই একের পর এক চমক দেখিয়ে আসা দুই কিশোরী যে উঠে গেছেন ফাইনালে! ফ্লাশিং মিডোসের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে রোববার মুখোমুখি হবেন তাঁরা।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামের শুরু থেকেই ছিল সদ্য কৈশোর পেরোনোদের জয়জয়কার। শেষ লড়াইটাও হচ্ছে দুই কিশোরীর। এত দিন কেউ লেইলাহ ও রাদুকানুর স্বপ্নযাত্রা থামাতে না পারলেও রোববার ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন শুধু একজন।
একবিংশ শতাব্দীতে এই প্রথম ইউএস ওপেনে নারীদের ফাইনালে এত অল্প বয়সী দুই খেলোয়াড় মুখোমুখি হচ্ছেন। ১৯৯৯ সালে শেষবার দুই ‘অষ্টাদশী’ সেরেনা উইলিয়ামস ও মার্টিনা হিঙ্গিস ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ফ্লাশিং মিডোসে আজ মারিয়া সাক্কারিকে ৬-১ ও ৬-৪ ব্যবধানে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন রাদুকানু। তিনি ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে উঠেছেন।
অপর সেমিতে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সেই লড়াইয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় সেরা তারকা সাবালেঙ্কাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন লেইলাহ। তাঁর কঠিন মানসিকতার কাছে সাবালেঙ্কা হেরেছেন ৭-৬ (৩), ৪-৬, ৬-৪ ব্যবধানে।
‘অখ্যাত’ দুই কিশোরীর প্রথম ফাইনালটা যেন নতুন এক বার্তাই দিয়ে রাখল!