ক্রীড়া ডেস্ক
ইউএস ওপেন শুরুর আগেই সেরেনা উইলিয়ামস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই টুর্নামেন্ট শেষে অবসর নেবেন, যার সমাপ্তি ঘটল আজ। অস্ট্রিয়ার আজলা টমলজানোভিচের কাছে ৭–৫, ৬–৭ (৪ /৭), ৬–১ সেটে হেরে টেনিসকে বিদায় জানালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই কিংবদন্তি।
এতে করে একটি টেনিস যুগের অবসান হলো। দীর্ঘ ২৭ বছরের টেনিস ক্যারিয়ারে অনেক রূপকথার জন্ম দিয়েছেন সেরেনা। তবে বিদায়বেলাটা রূপকথার মতো হলো না। ম্যাচ হারার পর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তাঁকে অবসর নিয়ে পুনর্বিবেচনার কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। উত্তরে সেরেনা বলেছেন, ‘আমি পুরোদস্তুর নিজের মতোই খেলেছি এবং আরও ভালো হয়ে উঠেছি। আমার এই বছর দ্রুত শুরু করা উচিত ছিল। আমি তা মনে করি না, (অবসর) তবে আপনি কখনোই জানেন না।’
টেনিসের ওপেন যুগে সর্বোচ্চ ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন সেরেনা। বিদায়ি টুর্নামেন্ট জিততে পারলে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টের পাশে বসতে পারতেন। ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নারী এককে সর্বোচ্চ শিরোপার মালিক তিনি। তাঁর পাশে বসতে না পারলেও সেরেনার কৃতিত্ব কমেনি বিন্দুমাত্র। প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে যা করেছেন, তা টেনিসে চিরকাল রবে স্মরণীয়। সে যাই হোক, বিদায়বেলায় ধন্যবাদ জানালেন সবাইকে। তিনি বলেছেন, ‘এখানে যাঁরা উপস্থিত আছেন, প্রত্যককে ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা কয়েক দশক ধরে আমার পাশে আছেন।’
নিজের বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেরেনা বলেছেন, ‘বাবা-মা থেকেই সবকিছু শুরু হয়েছিল। সবকিছু তাঁঁদের প্রাপ্য। তাঁদের প্রতি আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।’
আর যার জন্য সেরেনা আজ কিংবদন্তি হয়েছেন, সেই বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশেষভাবে। তিনি বলেছেন, ‘আমি সেরেনা হয়ে উঠতে পারতাম না, যদি ভেনাস না থাকত। তোমাকে ধন্যবাদ ভেনাস।’ সেরেনা উইলিয়ামসের অস্তিত্বের জন্য ভেনাসই একমাত্র কারণ বলে জানান তিনি।
১৯৯৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম পেশাদার টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন সেরেনা। আর শেষটা করলেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনে। আক্ষেপ শুধু রূপকথার মতো শেষটা রাঙাতে পারলেন না সেরেনা। আর কিংবদন্তির বিদায়বেলা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে বেজে উঠেছে টিনা টার্নারের পপ ক্ল্যাসিক ‘সিম্পলি দ্য বেস্ট’।