হারার আগেই কাল হেরে গেছেন নোভাক জোকোভিচ! নয়তো দানিল মেদভেদেভের ওই শেষ সার্ভিসে জোকোভিচের রিটার্ন কেন জালে আটকাবে। এ রকম সার্ভিস তো ফোরহ্যান্ডে কত হাজারবার পার করেছেন। কিন্তু কাল আর ফেরাতে পারলেন না। ইতিহাসও লেখা হলো না জোকোভিচের।
জোকোভিচের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ফ্ল্যাশিং মিডোসে কাল নতুন ইতিহাস লিখেছেন মেদভেদেভ। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে হারিয়ে জিতেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। ইউএস ওপেনের ফাইনালে কাল ৬–৪,৬–৪, ৬–৪ গেমে সরাসরি সেটে জোকারকে হারিয়েছেন মেদভেদেভ। এর আগে দুইবার ফাইনাল খেলা মেদভেদেভ ক্যারিয়ারে প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের দেখা পেলেন তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে।
রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলে পুরুষ টেনিস ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২১ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের হাতছানি ছিল জোকোভিচের সামনে। একই সঙ্গে ক্যালেন্ডার ইয়ার গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সুযোগ। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না এই সার্বিয়ান টেনিস মহাতারকা।
ফাইনালে কাল শুরু থেকেই রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন মেদভেদেভ। প্রথম সেটে মেদভেদের জয় ৬-৪ গেমে। তবে প্রথম সেটের পর ম্যাচের গতিবিধি বোঝা প্রায় অসম্ভব কোর্টে যদি জোকোভিচ থাকে! বাছাইয়ের শীর্ষে থাকা এই টেনিস তারকা তো এমনই বলে কয়েই যেন প্রথম সেট প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেন! এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ উপাখ্যান লিখেন। তবে কাল আর প্রথম সেটে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলাতে পারলেন না, উল্টো নিজেই চাপে পড়ে গেলেন দ্বিতীয় সেট হেরে। এবারও হার ৬-৪ গেমে।
শেষদিকে জোকোভিচ বুঝে গিয়েছিলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। একবার তো বেঞ্চে বসে তোয়ালে দিয়ে চোখও মুছেছেন। হারার আগে হার না মানা মানসিকতার অদম্য জোকোভিচ ভেঙে পড়েছিলেন তখনই। আসলে কাল দিনটাই তাঁর ছিল না। শেষ সেটেও তাই ৬-৪ গেমে হেরে বসেন ৩৪ বছর বয়সী এই টেনিস মহাতারকা। আর ক্যারিয়ের প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্লাম লিখে নতুন ইতিহাস লিখেন মেদভেদেভ।