ক্রীড়া ডেস্ক
টেনিসের ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি নোভাক জোকোভিচ। রজার ফেদেরার অবসরে, অবসর না নিয়েও কোর্টের বাইরে রাফায়েল নাদাল। এই দুজনের সঙ্গে জোকোভিচ মিলে বিশ্ব টেনিসে যে ‘বড় তিনে’র বলয়; তার আধিপত্য এখনো বহমান।
মাঝে পালাবদলের বুদবুদও উঠেছে। ইয়ানিক সিনার, দানিল মেদভেদেভ, ক্যাসপার রুড, ডমিনিক থিমরা বড় তিনের বলয় ভেঙেই গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন। কিন্তু পেশাদার সার্কিটে কারও পারফরম্যান্সই তেমন ধারাবাহিক নয়। যেমনটা ধারাবাহিক কার্লোস আলকারাস। মাত্র ১৯ বছর বয়সে টেনিসের সর্বকনিষ্ঠ ‘নাম্বার ওয়ান’ হওয়া আলকারাসের এখন তিন-তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। আর তাঁর পারফরম্যান্স, ধারাবাহিকতা এমনই যে বড় তিনের শেষ প্রতিনিধি জোকোভিচের চ্যালেঞ্জার ভাবা হচ্ছে তাঁকেই। গত উইম্বলডনের কাব্যিক এক ফাইনালে সার্বিয়ান তারকাকে হারিয়ে সত্যিকারের ‘চ্যালেঞ্জার’ হয়ে উঠেছেন আলকারাস। বিশ্ব টেনিসে পালাবদলের ব্যাটনটার পুরোপুরি দখল নেওয়ার জন্য আজকের ফাইনালে জয় চাই আলকারাসের। ভেন্যু সেই অল ইংল্যান্ড ক্লাব। প্রতিপক্ষ সেই জোকোভিচ।
প্রতিপক্ষ হিসেবে আলকারাস যে সত্যিই একটা ‘ফ্যাক্টর’, উইম্বলডন ফাইনালের আগে সেটি উঠে এসেছে জোকোভিচের কথায়। ৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ বলছেন ইতিহাস গড়ার জন্য তাঁর ‘জ্বালানি’ চাই। উইম্বলডনে সবচেয়ে বেশি ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ফেদেরারের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলা কিংবা মার্গারেট কোর্টের ২৪ ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি ২৫ গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য সেই জ্বালানি তিনি আজকের ফাইনালে আলকারাসকে হারিয়েই পেতে পারেন বলে মনে করেন জোকোভিচ।
উইম্বলডনে জোকোভিচের ১০ম ফাইনাল, আর তাঁর খেলা ৭৫টি গ্র্যান্ড স্লামে ৩৭ তম ফাইনাল। আর জোকোভিচের চেয়ে ১৬ বছরের কম আলকারাসের এটি চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল। জিতলে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা সংখ্যাটাকে উন্নীত করবেন চারে। এই ফাইনাল তো আলকারাস জিততে চানই, এ দিন ইউরো জয়ের মধ্য দিয়ে গোটা স্পেনকে মেতে উঠতে দেখতে চান সুপার সানডের উচ্ছ্বাসে।