ক্রীড়া ডেস্ক
বিদায়ী ভাষণের শুরুতে মুখে হাসি ফুটিয়ে রজার ফেদেরার বললেন, ‘দিনটা দারুণ। সবাইকে বলেছি, আমি খুশি। খারাপ লাগছে না।’
‘খারাপ লাগছে না’ বললেন বটে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরই অকৃত্রিম হাসি মিলিয়ে গেল লন্ডনের ওটু এরিনায়। চোখের জলে আর বাঁধ দিতে পারলেন না টেনিসকে শিল্পে রূপ দেওয়া কিংবদন্তি ফেদেরার। তিনি কাঁদলেন। কখনো কখনো তা অঝোরে। সেই কান্না সংক্রমিত হলো সবার মধ্যে। কোর্টের পাশে বসা রাফায়েল নাদালেও। ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী রাফাও কাঁদছেন। এ এক দুর্লভ দৃশ্য। শুধু টেনিসপ্রেমী নয়, পুরো বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকে ছুঁয়ে গেল ফেদেরারের এমন হৃদয়ছোঁয়া বিদায়।
২০ গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী ফেদেরার আগেই জানিয়েছিলেন, এই লেভার কাপ দিয়েই পেশাদার টেনিসকে জানাবেন বিদায়। গত রাতে সুইস মহাতারকা বিদায়ী ম্যাচে জুটি বেঁধে খেলেছিলেন নাদালের সঙ্গে। টিম ইউরোপের হয়ে দ্বৈত জুটি হিসেবে নামা ফেদেরার ও নাদাল হেরেছেন টিম ওয়ার্ল্ডের জুটি ফ্রান্সিস তিয়াফো ও জ্যাক সকের কাছে। ৪-৬, ৭-৬ (৭ /২), ১১-৯ গেমের হারে শেষটা মনের মতো হয়নি ফেদেরার। তাতে কী? গত রাতটা ছিল যতটা না খেলা, তার চেয়ে বেশি ৪১ বছর বয়সী কিংবদন্তির বিদায়।
নীল জার্সিতে ফেদেরার বিদায় জানালেন টেনিসকে। কোর্টে দাঁড়িয়ে টেনিসের এই মহাতারকাকে বিদায় জানালেন ইউরোপীয় দলে তাঁর সতীর্থ নাদাল, জোকোভিচ, মারের মতো বড় তারকারাও। বিদায়ী ভাষণে ফেদেরার কৃতজ্ঞতা জানালেন ভক্ত, সমর্থক, সতীর্থ, প্রতিদ্বন্দ্বী, বন্ধু, স্ত্রী আর বাবা-মাকে। কোর্টে ফেদেরারের ভেজা চোখ ছুঁয়ে গেল গ্যালারিতেও, পৃথিবীর সব টেনিসপ্রেমীকেই।