হোম > খেলা > টেনিস

রাজশাহীতে এবার হচ্ছে না আইটিএফ টেনিস

এক টেনিস কমপ্লেক্সের দুই নাম

 রিমন রহমান, রাজশাহী

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৫২
সাইনবোর্ডে ‘জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স’ লেখা থাকলেও কাগজে-কলমে রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সের নাম এখনো অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

নভেম্বর চলে যাচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি নেই। বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নাকি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন টেনিস কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক কমিটির লক্ষ্য শুধু নির্বাচন আয়োজন। টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো ‘বড়’ সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে চান না। ফলে এবার বসবে না টেনিসের আন্তর্জাতিক আসর।

আগে রাজশাহীর এই টেনিস কমপ্লেক্সের নাম ছিল জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স। পরে নাম বদলে রাখা হয় অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আহ্বায়ক কমিটি আবার ‘জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স’ নামে বড় সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে। তবে কাগজে-কলমে এখনো এর নাম অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স।

৩১ বছর আগে এই টেনিস কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছিল জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-১৮) টেনিসের আন্তর্জাতিক আসর। প্রতিবছরের নভেম্বরে আয়োজন করা হয় এ প্রতিযোগিতা। গত বছর ২৯তম আসরে বিভিন্ন দেশের ৬২ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। এবার ৩০তম আসর হচ্ছে না বলে মন খারাপ স্থানীয় খেলোয়াড়দের। আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হক রোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নিজেও একজন টেনিস খেলোয়াড়। টুর্নামেন্ট এবার হবে না, এ জন্য অবশ্যই খারাপ লাগছে।’

এর আগে ২০০৭-০৮ সালেও রাজশাহীতে হয়নি আইটিএফ টেনিস। তবে ওই বছরের কারণটা ছিল ভিন্ন। টুর্নামেন্ট খেলতে ইসরায়েলি এক খেলোয়াড় চলে এসেছিলেন বাংলাদেশে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর সেই খেলোয়াড় অভিযোগ করেছিলেন আইটিএফে। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইটিএফ সে সময়ের জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্সকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। অনেক দেনদরবার করে দুই বছর পর ওঠানো গিয়েছিল সেই নিষেধাজ্ঞা।

সাইনবোর্ডে ‘জাফর ইমাম টেনিস কমপ্লেক্স’ লেখা থাকলেও কাগজে-কলমে রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সের নাম এখনো অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর টেনিস কমপ্লেক্সের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রওশন, জেনারেল সেক্রেটারি এহসানুল হক হুদাসহ সবাই পদত্যাগ করেন। পরে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর পাঁচ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করে দেন। কয়েক দিন পর এ কমিটির আহ্বায়ক সুজন আল হাসানও পদত্যাগ করেন। পরে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

টুর্নামেন্ট আয়োজন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। আমরা এ ধরনের বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে চাই। তারপর নাহয় রেগুলার কমিটি এটা দেখবে।’

এ টুর্নামেন্টের ভেন্যু রাজশাহী হলেও এটির আয়োজনে আইটিএফের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন (বিটিএফ)। কেন টুর্নামেন্ট হলো না, এ প্রশ্নে বিটিএফের সদ্য সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি এ এস এম হায়দার গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুবাই থেকে বলেন, ‘আমি আর দায়িত্বে নেই। গতকালই প্রজ্ঞাপন করে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্ট হয়নি নিরাপত্তার কারণে। রাজশাহীতে যারা কমপ্লেক্সের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা দায়িত্ব নিতে চাননি। আইটিএফও শঙ্কিত ছিল। ৫ আগস্টের পর নাকি নিরাপত্তার ঘাটতি আছে। একটা বিদেশি প্লেয়ারের গায়ে আঁচড় পড়লে দেশের বদনাম হবে।’

অলিম্পিকের বছরে নাদালের বিদায়

‘উত্তরাধিকার’ রেখে বিদায় নিলেন নাদাল

নাদালকে শিরোপা দিয়ে বিদায় দিতে চান আলকারাস