এখন আরও ১১০টি ভাষায় অনুবাদ করে দিতে পারবে গুগল ট্রান্সলেট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সাহায্যে নতুন ভাষাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে এ ঘোষণা দেয় গুগল।
গুগল টান্সলেটে এসব ভাষা যুক্ত করার জন্য নিজেদের লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল ‘পিএএলএম ২’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি । প্রায় কাছাকাছি ধরনের বা কোনো ভাষার আঞ্চলিক উপভাষাগুলো শেখার ক্ষেত্রে এই মডেল বিশেষভাবে কার্যকর।
ব্লগ পোস্টে বলা হয়, এর আগে কখনো এতগুলো ভাষা একই সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি। এর আগে শুধু ১৩৩টি ভাষা অনুবাদ করতে পারত গুগল ট্রান্সলেট। নতুন আপডেটের পর প্ল্যাটফরমটি মোট ২৪৩টি ভাষায় অনুবাদ করতে পারবে।
২০২২ সালের নভেম্বরে গুগল ১ হাজার ভাষা যুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেয়। বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত ১ হাজার কথ্য ভাষা সমর্থন করার জন্য এআই মডেল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয় গুগল। প্ল্যাটফরমটিতে ১১০টি নতুন ভাষা যুক্ত করার বিষয়টি সেই উদ্যোগের অংশ।
নতুন ভাষা বেছে নেওয়ার জন্য প্রতিটি ভাষার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রূপগুলো অগ্রাধিকার দিয়েছে গুগল। বিষয়টি স্পষ্ট করতে একটি উদাহরণ দিয়েছে কোম্পানিটি। গুগল বলেছে, ইউরোপজুড়ে রোমানি ভাষার অনেকগুলো উপভাষা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণী ভ্লাক্স রোমানি ভাষা বেছে নিয়েছে এআই মডেলটি । কারণ এটি অনলাইনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া ভাষাগুলোর বিশালসংখ্যক টেক্সটের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এসব ভাষা নির্বাচন করা হয়। কারণ টেক্সটের ওপর ভিত্তি করেও এআই মডেল প্রশিক্ষিত হয়। জিবুতি, ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়ায় ব্যবহৃত কথ্য ভাষা ‘আফার’কেও যুক্ত করে গুগল। উল্লেখ্য, মোট নতুন ভাষার এক-চতুর্থাংশ আফ্রিকার। এ ছাড়া ভারতের আওয়াধি ও মাড়ওয়ারি ভাষাও যুক্ত করা হয়েছে।
যেকোনো ব্রাউজার থেকে গুগল ট্রান্সলেটের ওয়েবসাইটে গিয়ে এসব ভাষায় অনুবাদ করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসের অ্যাপ থেকেও এসব ভাষা ব্যবহার করা যাবে।
অন্যান্য টেক কোম্পানির মতো বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মানোন্নয়নে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে গুগল। জিমেইল, সার্চ ও মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রেও এআই ব্যবহার করেছে টেক জায়ান্টটি। মে মাসে অনুষ্ঠিত ডেভেলপার সম্মেলনেও কোম্পানিটি এআইয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয়। অ্যাপল ও মাইক্রোসফটও তাদের পণ্য ও সেবায় এআই ব্যবহার করছে। আর এ মাসের শুরুতে আইফোনে ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ যুক্ত করার ঘোষণা দেয় অ্যাপল।