
ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ছিলেন।
ডিপফেক ভিডিওর ব্যবহার
এই প্রতারণা চক্রের প্রধান কৌশল ছিল ডিপফেক বা ডিজিটালভাবে তৈরি করা ভিডিও। সেলিব্রেটি ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ভিডিও বা ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা তাদের অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করতে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করত। এই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ছিল ‘অ্যাডমিরালএসএফএক্স’। এই প্ল্যাটফর্মে সাধারণত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হতো। অনেক ভুক্তভোগী মনে করেছিলেন, তাঁরা সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে বৈধ বিনিয়োগ পরামর্শ পাচ্ছেন, তবে আসলে একটি সাজানো প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তাঁরা।
বিশিষ্ট ব্রিটিশ টেলিভিশন সেলিব্রিটি বেন ফোগল নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই প্রতারণার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেন, যখন তিনি লক্ষ করেন তাঁর নাম ও চেহারা ব্যবহার করে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি এবং সেই সময়েই তিবলিসির কল সেন্টারের অপারেশন চালু ছিল, যেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সহজে ঠকানো।
প্রতারকেরা যেভাবে কাজ করছিল
প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা। এই বিজ্ঞাপনগুলোতে জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের প্রলোভন দেখানো হতো। যাঁরা এই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হতেন, তাঁদের জন্য কল সেন্টার থেকে কল দেওয়া হতো। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মাত্র ২৫০ পাউন্ড থেকে ৫০০ পাউন্ড বিনিয়োগের প্রস্তাব পেতেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ‘ভালো লাভ’ এবং ‘দ্রুত আয়ের’ প্রতিশ্রুতি পেতেন। একে একে তাঁরা আরও বড় পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ শুরু করতেন। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন ধাপে তাঁদের অ্যাকাউন্টের মধ্যে জমে থাকা ‘লাভ’ দেখতেন, যা আসলে শুধু প্রতারকদের তৈরি করা ভুয়া তথ্য ছিল।
যত বেশি টাকা তাঁরা জমা দিতেন, ততই বড় পরিমাণ লাভ দেখানো হতো। তবে, যখন কেউ তাঁদের ‘লাভ’ তুলে নিতে চাইতেন, তখন প্রতারকেরা বিভিন্ন অজুহাতে পেমেন্টের জন্য ফি বা অন্যান্য চার্জ দাবি করতে থাকত।
ফাঁদে পড়েন ৬ হাজার মানুষ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ২০২২ সালের মে থেকে অন্তত ৬ হাজার ১৭৯ জন প্রতারিত হয়েছেন এই প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের সঞ্চিত অর্থের সবকিছু হারিয়েছেন। ৬৪ বছর বয়সী ক্যান, যিনি একটি স্নায়বিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের কাছে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী থেরেসা নিঃসঙ্গভাবে বৃদ্ধাশ্রমে থাকছিলেন, তিনিও প্রায় একই অর্থ হারিয়েছেন।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এক লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক কর্মচারী ডেরেকের, যিনি প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। তাঁর মতো অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের জীবনব্যাপী সঞ্চয়, পেনশন এবং অন্যান্য জরুরি অর্থ হারিয়ে বিপদে পড়েছেন।
অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক নজরদারি
তিবলিসি থেকে পরিচালিত এই প্রতারণা চক্র শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, কানাডা, জার্মানি, স্পেনসহ আরব দেশের বিভিন্ন অংশেও সক্রিয় ছিল। বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ক্ষতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড) শুধু ব্রিটেন থেকে আসে।
এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা গোপন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের ফোন বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। এভাবে তারা ভুক্তভোগীদের তথ্য চুরি করত এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা তাদের সফল কর্মীদের জন্য দামি রোলেক্স ঘড়ি এবং বিরাট বোনাস দিত, যা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং প্রলোভন সৃষ্টি করত।
এসব প্রতারণার পেছনে একটি দুর্নীতিপূর্ণ জর্জিয়ার টেলিমার্কেটিং কোম্পানি ‘একে গ্রুপ’-এর নামও উঠে এসেছে, যার মালিক হচ্ছেন মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী আকাশি কেভখিশভিলি।
এপি গ্রুপ নামক এই কোম্পানি ছিল প্রতারকদের টেলিমার্কেটিং কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী কেভখিশভিলির মাধ্যমে ক্রিপ্টো প্রতারণা কার্যক্রম চালাতেন, যেখানে তারা বিভিন্ন ভুয়া প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের নামে মানুষকে প্রতারিত করেছিল। এই কোম্পানির নাম এবং পরিচয় একাধিকবার প্রতারণা অপারেশন এবং ভুয়া দালালি সেবা প্রদানকারী সাইটগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যেমন: অ্যাডমিরালসএফএক্স এবং গোল্ডের কারেন্সিস।
এ ছাড়া, মেরি শোটাডজে ও কেভখিশভিলি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, যা তাদের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যায়।
গোপন কৌশল এবং মুদ্রা পাচারের চক্র
প্রতারকেরা শুধু টাকা নেয়নি, তারা মুদ্রা পাচারের জন্যও গোপন কৌশল ব্যবহার করেছিল। এদের কাছে থাকা ডেটায় অন্তত ১ মিলিয়ন কল রেকর্ড ছিল, যা তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য তুলে ধরেছে। ভুক্তভোগীরা যখন তাঁদের লাভ উত্তোলন করতে চাইতেন, তখন তাঁদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে ফি ও কমিশন দাবি করা হতো এবং এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পূর্ণ সঞ্চয় হারিয়ে ফেলতেন।
আইনি ব্যবস্থা ও প্রতিকার
এই বিশাল প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, বিশেষ করে জর্জিয়া থেকে এর মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গার্ডিয়ান ও সুইডিশ টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্জিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও ব্রিটেনের মন্ত্রীরা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ তদন্তকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে জরুরি পদক্ষেপের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে রেভোলুট, ক্রু ও চেজ ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের প্রতারণা রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা প্রতারণার অভিযোগ সঠিকভাবে রিপোর্ট করার জন্য নতুন প্রোগ্রাম শুরু করেছে।
প্রতারণা সত্ত্বেও, একাধিক প্রশাসনিক সিস্টেম এগুলো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে প্রতারণাটি এখনো চালু রয়েছে। কিন্তু তথ্য ফাঁসের পর এই অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ছিলেন।
ডিপফেক ভিডিওর ব্যবহার
এই প্রতারণা চক্রের প্রধান কৌশল ছিল ডিপফেক বা ডিজিটালভাবে তৈরি করা ভিডিও। সেলিব্রেটি ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ভিডিও বা ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা তাদের অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করতে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করত। এই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ছিল ‘অ্যাডমিরালএসএফএক্স’। এই প্ল্যাটফর্মে সাধারণত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হতো। অনেক ভুক্তভোগী মনে করেছিলেন, তাঁরা সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে বৈধ বিনিয়োগ পরামর্শ পাচ্ছেন, তবে আসলে একটি সাজানো প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তাঁরা।
বিশিষ্ট ব্রিটিশ টেলিভিশন সেলিব্রিটি বেন ফোগল নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই প্রতারণার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেন, যখন তিনি লক্ষ করেন তাঁর নাম ও চেহারা ব্যবহার করে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি এবং সেই সময়েই তিবলিসির কল সেন্টারের অপারেশন চালু ছিল, যেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সহজে ঠকানো।
প্রতারকেরা যেভাবে কাজ করছিল
প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা। এই বিজ্ঞাপনগুলোতে জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের প্রলোভন দেখানো হতো। যাঁরা এই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হতেন, তাঁদের জন্য কল সেন্টার থেকে কল দেওয়া হতো। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মাত্র ২৫০ পাউন্ড থেকে ৫০০ পাউন্ড বিনিয়োগের প্রস্তাব পেতেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ‘ভালো লাভ’ এবং ‘দ্রুত আয়ের’ প্রতিশ্রুতি পেতেন। একে একে তাঁরা আরও বড় পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ শুরু করতেন। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন ধাপে তাঁদের অ্যাকাউন্টের মধ্যে জমে থাকা ‘লাভ’ দেখতেন, যা আসলে শুধু প্রতারকদের তৈরি করা ভুয়া তথ্য ছিল।
যত বেশি টাকা তাঁরা জমা দিতেন, ততই বড় পরিমাণ লাভ দেখানো হতো। তবে, যখন কেউ তাঁদের ‘লাভ’ তুলে নিতে চাইতেন, তখন প্রতারকেরা বিভিন্ন অজুহাতে পেমেন্টের জন্য ফি বা অন্যান্য চার্জ দাবি করতে থাকত।
ফাঁদে পড়েন ৬ হাজার মানুষ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ২০২২ সালের মে থেকে অন্তত ৬ হাজার ১৭৯ জন প্রতারিত হয়েছেন এই প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের সঞ্চিত অর্থের সবকিছু হারিয়েছেন। ৬৪ বছর বয়সী ক্যান, যিনি একটি স্নায়বিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের কাছে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী থেরেসা নিঃসঙ্গভাবে বৃদ্ধাশ্রমে থাকছিলেন, তিনিও প্রায় একই অর্থ হারিয়েছেন।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এক লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক কর্মচারী ডেরেকের, যিনি প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। তাঁর মতো অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের জীবনব্যাপী সঞ্চয়, পেনশন এবং অন্যান্য জরুরি অর্থ হারিয়ে বিপদে পড়েছেন।
অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক নজরদারি
তিবলিসি থেকে পরিচালিত এই প্রতারণা চক্র শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, কানাডা, জার্মানি, স্পেনসহ আরব দেশের বিভিন্ন অংশেও সক্রিয় ছিল। বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ক্ষতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড) শুধু ব্রিটেন থেকে আসে।
এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা গোপন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের ফোন বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। এভাবে তারা ভুক্তভোগীদের তথ্য চুরি করত এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা তাদের সফল কর্মীদের জন্য দামি রোলেক্স ঘড়ি এবং বিরাট বোনাস দিত, যা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং প্রলোভন সৃষ্টি করত।
এসব প্রতারণার পেছনে একটি দুর্নীতিপূর্ণ জর্জিয়ার টেলিমার্কেটিং কোম্পানি ‘একে গ্রুপ’-এর নামও উঠে এসেছে, যার মালিক হচ্ছেন মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী আকাশি কেভখিশভিলি।
এপি গ্রুপ নামক এই কোম্পানি ছিল প্রতারকদের টেলিমার্কেটিং কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী কেভখিশভিলির মাধ্যমে ক্রিপ্টো প্রতারণা কার্যক্রম চালাতেন, যেখানে তারা বিভিন্ন ভুয়া প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের নামে মানুষকে প্রতারিত করেছিল। এই কোম্পানির নাম এবং পরিচয় একাধিকবার প্রতারণা অপারেশন এবং ভুয়া দালালি সেবা প্রদানকারী সাইটগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যেমন: অ্যাডমিরালসএফএক্স এবং গোল্ডের কারেন্সিস।
এ ছাড়া, মেরি শোটাডজে ও কেভখিশভিলি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, যা তাদের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যায়।
গোপন কৌশল এবং মুদ্রা পাচারের চক্র
প্রতারকেরা শুধু টাকা নেয়নি, তারা মুদ্রা পাচারের জন্যও গোপন কৌশল ব্যবহার করেছিল। এদের কাছে থাকা ডেটায় অন্তত ১ মিলিয়ন কল রেকর্ড ছিল, যা তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য তুলে ধরেছে। ভুক্তভোগীরা যখন তাঁদের লাভ উত্তোলন করতে চাইতেন, তখন তাঁদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে ফি ও কমিশন দাবি করা হতো এবং এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পূর্ণ সঞ্চয় হারিয়ে ফেলতেন।
আইনি ব্যবস্থা ও প্রতিকার
এই বিশাল প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, বিশেষ করে জর্জিয়া থেকে এর মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গার্ডিয়ান ও সুইডিশ টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্জিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও ব্রিটেনের মন্ত্রীরা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ তদন্তকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে জরুরি পদক্ষেপের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে রেভোলুট, ক্রু ও চেজ ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের প্রতারণা রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা প্রতারণার অভিযোগ সঠিকভাবে রিপোর্ট করার জন্য নতুন প্রোগ্রাম শুরু করেছে।
প্রতারণা সত্ত্বেও, একাধিক প্রশাসনিক সিস্টেম এগুলো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে প্রতারণাটি এখনো চালু রয়েছে। কিন্তু তথ্য ফাঁসের পর এই অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ছিলেন।
ডিপফেক ভিডিওর ব্যবহার
এই প্রতারণা চক্রের প্রধান কৌশল ছিল ডিপফেক বা ডিজিটালভাবে তৈরি করা ভিডিও। সেলিব্রেটি ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ভিডিও বা ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা তাদের অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করতে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করত। এই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ছিল ‘অ্যাডমিরালএসএফএক্স’। এই প্ল্যাটফর্মে সাধারণত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হতো। অনেক ভুক্তভোগী মনে করেছিলেন, তাঁরা সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে বৈধ বিনিয়োগ পরামর্শ পাচ্ছেন, তবে আসলে একটি সাজানো প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তাঁরা।
বিশিষ্ট ব্রিটিশ টেলিভিশন সেলিব্রিটি বেন ফোগল নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই প্রতারণার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেন, যখন তিনি লক্ষ করেন তাঁর নাম ও চেহারা ব্যবহার করে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি এবং সেই সময়েই তিবলিসির কল সেন্টারের অপারেশন চালু ছিল, যেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সহজে ঠকানো।
প্রতারকেরা যেভাবে কাজ করছিল
প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা। এই বিজ্ঞাপনগুলোতে জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের প্রলোভন দেখানো হতো। যাঁরা এই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হতেন, তাঁদের জন্য কল সেন্টার থেকে কল দেওয়া হতো। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মাত্র ২৫০ পাউন্ড থেকে ৫০০ পাউন্ড বিনিয়োগের প্রস্তাব পেতেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ‘ভালো লাভ’ এবং ‘দ্রুত আয়ের’ প্রতিশ্রুতি পেতেন। একে একে তাঁরা আরও বড় পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ শুরু করতেন। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন ধাপে তাঁদের অ্যাকাউন্টের মধ্যে জমে থাকা ‘লাভ’ দেখতেন, যা আসলে শুধু প্রতারকদের তৈরি করা ভুয়া তথ্য ছিল।
যত বেশি টাকা তাঁরা জমা দিতেন, ততই বড় পরিমাণ লাভ দেখানো হতো। তবে, যখন কেউ তাঁদের ‘লাভ’ তুলে নিতে চাইতেন, তখন প্রতারকেরা বিভিন্ন অজুহাতে পেমেন্টের জন্য ফি বা অন্যান্য চার্জ দাবি করতে থাকত।
ফাঁদে পড়েন ৬ হাজার মানুষ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ২০২২ সালের মে থেকে অন্তত ৬ হাজার ১৭৯ জন প্রতারিত হয়েছেন এই প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের সঞ্চিত অর্থের সবকিছু হারিয়েছেন। ৬৪ বছর বয়সী ক্যান, যিনি একটি স্নায়বিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের কাছে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী থেরেসা নিঃসঙ্গভাবে বৃদ্ধাশ্রমে থাকছিলেন, তিনিও প্রায় একই অর্থ হারিয়েছেন।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এক লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক কর্মচারী ডেরেকের, যিনি প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। তাঁর মতো অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের জীবনব্যাপী সঞ্চয়, পেনশন এবং অন্যান্য জরুরি অর্থ হারিয়ে বিপদে পড়েছেন।
অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক নজরদারি
তিবলিসি থেকে পরিচালিত এই প্রতারণা চক্র শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, কানাডা, জার্মানি, স্পেনসহ আরব দেশের বিভিন্ন অংশেও সক্রিয় ছিল। বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ক্ষতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড) শুধু ব্রিটেন থেকে আসে।
এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা গোপন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের ফোন বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। এভাবে তারা ভুক্তভোগীদের তথ্য চুরি করত এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা তাদের সফল কর্মীদের জন্য দামি রোলেক্স ঘড়ি এবং বিরাট বোনাস দিত, যা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং প্রলোভন সৃষ্টি করত।
এসব প্রতারণার পেছনে একটি দুর্নীতিপূর্ণ জর্জিয়ার টেলিমার্কেটিং কোম্পানি ‘একে গ্রুপ’-এর নামও উঠে এসেছে, যার মালিক হচ্ছেন মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী আকাশি কেভখিশভিলি।
এপি গ্রুপ নামক এই কোম্পানি ছিল প্রতারকদের টেলিমার্কেটিং কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী কেভখিশভিলির মাধ্যমে ক্রিপ্টো প্রতারণা কার্যক্রম চালাতেন, যেখানে তারা বিভিন্ন ভুয়া প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের নামে মানুষকে প্রতারিত করেছিল। এই কোম্পানির নাম এবং পরিচয় একাধিকবার প্রতারণা অপারেশন এবং ভুয়া দালালি সেবা প্রদানকারী সাইটগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যেমন: অ্যাডমিরালসএফএক্স এবং গোল্ডের কারেন্সিস।
এ ছাড়া, মেরি শোটাডজে ও কেভখিশভিলি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, যা তাদের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যায়।
গোপন কৌশল এবং মুদ্রা পাচারের চক্র
প্রতারকেরা শুধু টাকা নেয়নি, তারা মুদ্রা পাচারের জন্যও গোপন কৌশল ব্যবহার করেছিল। এদের কাছে থাকা ডেটায় অন্তত ১ মিলিয়ন কল রেকর্ড ছিল, যা তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য তুলে ধরেছে। ভুক্তভোগীরা যখন তাঁদের লাভ উত্তোলন করতে চাইতেন, তখন তাঁদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে ফি ও কমিশন দাবি করা হতো এবং এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পূর্ণ সঞ্চয় হারিয়ে ফেলতেন।
আইনি ব্যবস্থা ও প্রতিকার
এই বিশাল প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, বিশেষ করে জর্জিয়া থেকে এর মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গার্ডিয়ান ও সুইডিশ টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্জিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও ব্রিটেনের মন্ত্রীরা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ তদন্তকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে জরুরি পদক্ষেপের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে রেভোলুট, ক্রু ও চেজ ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের প্রতারণা রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা প্রতারণার অভিযোগ সঠিকভাবে রিপোর্ট করার জন্য নতুন প্রোগ্রাম শুরু করেছে।
প্রতারণা সত্ত্বেও, একাধিক প্রশাসনিক সিস্টেম এগুলো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে প্রতারণাটি এখনো চালু রয়েছে। কিন্তু তথ্য ফাঁসের পর এই অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ছিলেন।
ডিপফেক ভিডিওর ব্যবহার
এই প্রতারণা চক্রের প্রধান কৌশল ছিল ডিপফেক বা ডিজিটালভাবে তৈরি করা ভিডিও। সেলিব্রেটি ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ভিডিও বা ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা তাদের অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করতে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করত। এই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ছিল ‘অ্যাডমিরালএসএফএক্স’। এই প্ল্যাটফর্মে সাধারণত বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হতো। অনেক ভুক্তভোগী মনে করেছিলেন, তাঁরা সেলিব্রেটিদের মাধ্যমে বৈধ বিনিয়োগ পরামর্শ পাচ্ছেন, তবে আসলে একটি সাজানো প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তাঁরা।
বিশিষ্ট ব্রিটিশ টেলিভিশন সেলিব্রিটি বেন ফোগল নিজেই ইনস্টাগ্রামে এই প্রতারণার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেন, যখন তিনি লক্ষ করেন তাঁর নাম ও চেহারা ব্যবহার করে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। তবে এতে কোনো লাভ হয়নি এবং সেই সময়েই তিবলিসির কল সেন্টারের অপারেশন চালু ছিল, যেখানে তাদের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সহজে ঠকানো।
প্রতারকেরা যেভাবে কাজ করছিল
প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা। এই বিজ্ঞাপনগুলোতে জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের প্রলোভন দেখানো হতো। যাঁরা এই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী হতেন, তাঁদের জন্য কল সেন্টার থেকে কল দেওয়া হতো। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মাত্র ২৫০ পাউন্ড থেকে ৫০০ পাউন্ড বিনিয়োগের প্রস্তাব পেতেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ‘ভালো লাভ’ এবং ‘দ্রুত আয়ের’ প্রতিশ্রুতি পেতেন। একে একে তাঁরা আরও বড় পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ শুরু করতেন। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন ধাপে তাঁদের অ্যাকাউন্টের মধ্যে জমে থাকা ‘লাভ’ দেখতেন, যা আসলে শুধু প্রতারকদের তৈরি করা ভুয়া তথ্য ছিল।
যত বেশি টাকা তাঁরা জমা দিতেন, ততই বড় পরিমাণ লাভ দেখানো হতো। তবে, যখন কেউ তাঁদের ‘লাভ’ তুলে নিতে চাইতেন, তখন প্রতারকেরা বিভিন্ন অজুহাতে পেমেন্টের জন্য ফি বা অন্যান্য চার্জ দাবি করতে থাকত।
ফাঁদে পড়েন ৬ হাজার মানুষ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ২০২২ সালের মে থেকে অন্তত ৬ হাজার ১৭৯ জন প্রতারিত হয়েছেন এই প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের সঞ্চিত অর্থের সবকিছু হারিয়েছেন। ৬৪ বছর বয়সী ক্যান, যিনি একটি স্নায়বিক রোগে ভুগছেন, তাঁদের কাছে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী থেরেসা নিঃসঙ্গভাবে বৃদ্ধাশ্রমে থাকছিলেন, তিনিও প্রায় একই অর্থ হারিয়েছেন।
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এক লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক কর্মচারী ডেরেকের, যিনি প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ড হারিয়েছেন। তাঁর মতো অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের জীবনব্যাপী সঞ্চয়, পেনশন এবং অন্যান্য জরুরি অর্থ হারিয়ে বিপদে পড়েছেন।
অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড এবং আন্তর্জাতিক নজরদারি
তিবলিসি থেকে পরিচালিত এই প্রতারণা চক্র শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, কানাডা, জার্মানি, স্পেনসহ আরব দেশের বিভিন্ন অংশেও সক্রিয় ছিল। বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট ক্ষতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড) শুধু ব্রিটেন থেকে আসে।
এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা গোপন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের ফোন বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। এভাবে তারা ভুক্তভোগীদের তথ্য চুরি করত এবং তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা তাদের সফল কর্মীদের জন্য দামি রোলেক্স ঘড়ি এবং বিরাট বোনাস দিত, যা তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং প্রলোভন সৃষ্টি করত।
এসব প্রতারণার পেছনে একটি দুর্নীতিপূর্ণ জর্জিয়ার টেলিমার্কেটিং কোম্পানি ‘একে গ্রুপ’-এর নামও উঠে এসেছে, যার মালিক হচ্ছেন মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী আকাশি কেভখিশভিলি।
এপি গ্রুপ নামক এই কোম্পানি ছিল প্রতারকদের টেলিমার্কেটিং কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। মেরি শোটাডজে এবং তার সহকর্মী কেভখিশভিলির মাধ্যমে ক্রিপ্টো প্রতারণা কার্যক্রম চালাতেন, যেখানে তারা বিভিন্ন ভুয়া প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের নামে মানুষকে প্রতারিত করেছিল। এই কোম্পানির নাম এবং পরিচয় একাধিকবার প্রতারণা অপারেশন এবং ভুয়া দালালি সেবা প্রদানকারী সাইটগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যেমন: অ্যাডমিরালসএফএক্স এবং গোল্ডের কারেন্সিস।
এ ছাড়া, মেরি শোটাডজে ও কেভখিশভিলি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, যা তাদের প্রতারণামূলক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যায়।
গোপন কৌশল এবং মুদ্রা পাচারের চক্র
প্রতারকেরা শুধু টাকা নেয়নি, তারা মুদ্রা পাচারের জন্যও গোপন কৌশল ব্যবহার করেছিল। এদের কাছে থাকা ডেটায় অন্তত ১ মিলিয়ন কল রেকর্ড ছিল, যা তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আরও অনেক তথ্য তুলে ধরেছে। ভুক্তভোগীরা যখন তাঁদের লাভ উত্তোলন করতে চাইতেন, তখন তাঁদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে ফি ও কমিশন দাবি করা হতো এবং এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পূর্ণ সঞ্চয় হারিয়ে ফেলতেন।
আইনি ব্যবস্থা ও প্রতিকার
এই বিশাল প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, বিশেষ করে জর্জিয়া থেকে এর মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গার্ডিয়ান ও সুইডিশ টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্জিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও ব্রিটেনের মন্ত্রীরা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাইবার অপরাধ তদন্তকারী সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে জরুরি পদক্ষেপের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
এদিকে রেভোলুট, ক্রু ও চেজ ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের প্রতারণা রোধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা প্রতারণার অভিযোগ সঠিকভাবে রিপোর্ট করার জন্য নতুন প্রোগ্রাম শুরু করেছে।
প্রতারণা সত্ত্বেও, একাধিক প্রশাসনিক সিস্টেম এগুলো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে, যার কারণে প্রতারণাটি এখনো চালু রয়েছে। কিন্তু তথ্য ফাঁসের পর এই অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণা শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে
০৬ মার্চ ২০২৫
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণা শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে
০৬ মার্চ ২০২৫
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণা শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে
০৬ মার্চ ২০২৫
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

ডিপফেক ও ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত দুই বছরে প্রতারণা শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৬ হাজার ব্যক্তি। জর্জিয়ার তিবলিসি শহরে অবস্থিত একটি কল সেন্টারের প্রতারণা চক্রটি একাধিক প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৭ মিলিয়ন ইউরো) হাতিয়ে
০৬ মার্চ ২০২৫
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে