প্রযুক্তি ডেস্ক
মাইক্রোসফটের কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১–এর ২৪ এইচ ২ সংস্করণের ত্রুটি ধরা পড়েছে। এই সংস্করণের ব্যবহারকারীরা হার্ডডিস্কে অতিরিক্ত ৮ গিগাবাইটের বেশি মেমোরিজুড়ে থাকা ডেটা মুছে ফেলতে পারছেন না। ফিচার আপডেট ইনস্টল করার পরই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতখানি মেমোরিতে কোন ডেটা রয়েছে সেটিও দেখা যাচ্ছে না।
গত বছরের ১৫ অক্টোবরে অবমুক্ত করার পর নতুন করে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। তবে এখন অনেক ব্যবহারকারী ৮ দশমিক ৬৩ জিবি ডিস্ক স্পেস ‘উইন্ডোজ আপডেট ক্লিনআপ’ ফাইলের নামে দখল করে থাকলেও সেই ডেটা মুছে ফেলা যাচ্ছে না।
উইন্ডোজ আপডেট হওয়ার পর ফাইলের অবশিষ্টাংশ থাকা অস্বাভাবিক নয়। মাইক্রোসফটের মতে, উইন্ডোজ ইনস্টল করা আপডেটের কপি রেখে দেয়। এমনকি নতুন সংস্করণের আপডেট ইনস্টল করার পরও এগুলো থেকে যায়। পুরোনো সংস্করণগুলো যেন প্রয়োজনের সময় পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই সুবিধা রাখতেই এটি করা হয়।
উইন্ডোজ সেটিংস অ্যাপ্লিকেশন বা পুরোনো দিনের ডিস্ক ক্লিনআপ টুল ব্যবহার করে স্টোরেজ থেকে এই অস্থায়ী ফাইলগুলো মুছে ফেলা যেতে পারে।
কিন্তু এই ৮ দশমিক ৬৩ জিবি ডেটা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাচ্ছে না। মাইক্রোসফটের ফিডব্যাক হাবে অনেক ব্যবহারকারী এই অভিযোগ করেছেন।
মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
গত জুলাইয়ে মাইক্রোসফট বলেছিল, তারা উইন্ডোজ ১১ ২৪ এইচ ২ এবং উইন্ডোজ সার্ভার ২০২৫–এ চেকপয়েন্ট কিউমুলেটিভ আপডেট দেবে। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো আপডেট ফাইলের আকার কমানো।
সমস্যা হলো, উইন্ডোজ ১১–এ পুরোনো আপডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত ফাইলগুলো ব্যবহারকারী মুছে ফেলতে পারেন। এমনকি কোনো ক্লিন-আপ টুল মুছতে না পারলেও পুরোনো ফাইল ম্যানুয়ালি মুছে ফেলা সম্ভব।
এ ছাড়া উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের জন্য স্টোরেজের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তার আকার নিকট ভবিষ্যতে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে হঠাৎ এভাবে ভুতুড়ে ফাইল এসে ৮ গিগার বেশি স্টোরেজ দখল করে থাকাটা ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করছে।