দেশের ইন্টারনেট গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ (পিটিএ)। ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানি স্টারলিংককে লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সামা টিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
পিটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, স্টারলিংকের লাইসেন্স প্রস্তুত, শুধু সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বাকি। একবার এই প্রক্রিয়া শেষ হলে পাকিস্তানে কাজ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে স্টারলিংককে।
স্টারলিংকের উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলে পাকিস্তানের সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগের একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল ও দূরবর্তী এলাকাগুলোতে, যেখানে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা সীমিত বা ধীর গতির হয়ে থাকে।
পিটিএ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, স্টারলিংককে পাকিস্তানের স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোসফিয়ার রিসার্চ কমিশনের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তিতে প্রবেশ করতে হবে, যাতে তারা দেশটিকে তাদের পরিষেবা প্রদান করতে পারে। এই চুক্তিটি পিটিএয়ের অনুমোদন পাওয়ার জন্যও জমা দিতে হবে।
স্টারলিংকের সেবা পাকিস্তানে এক বছরের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি পাকিস্তানের নাগরিকদের নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেবে।
বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় স্টারলিংক। এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন ডেটা সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। স্টারলিংকের স্যাটেলাইটগুলো এসব তথ্য তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ আকারে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। একই সঙ্গে ভূপৃষ্ঠে এসব তরঙ্গ ছড়িয়ে দেয়।
স্টারলিংক ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর কাছেও তরঙ্গ শনাক্তের যন্ত্র থাকতে হয়। এই যন্ত্র বা অ্যানটেনা প্রতিষ্ঠানটিই সরবরাহ করে। অনেকটা স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মতো একই পদ্ধতিতে কাজ করে স্টারলিংকের ইন্টারনেট। পৃথিবীর কক্ষপথজুড়ে প্রচুর কৃত্রিম উপগ্রহ থাকায় যেকোনো জায়গায় ইন্টারনেট সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব। তাই দুর্গম মরু, পাহাড় বা সমুদ্রের মধ্যে, যেখানে সরাসরি তার বা অন্য কোনো মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া যায় না, সেখানেও ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারে স্টারলিংক।