ফিচার ডেস্ক
উন্নত প্রযুক্তির এ সময়ে আর কোনো কিছুকে অসম্ভব মনে হয় না। মানুষের বাইরে যেসব প্রাণী আছে, সেগুলোর সঙ্গে কথা বলাটাও তাই আর হয়তো অসম্ভব নয়। প্রযুক্তির অগ্রগতি তেমন আভাসই দিচ্ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের উন্নতির ফলে প্রযুক্তির জগতে অনেক বিপ্লব ঘটেছে। জানা গেছে, গবেষকেরা এমন এক এআই সিস্টেম তৈরির কাজ করছেন, যা মানুষের সঙ্গে প্রাণিজগতের অন্য প্রাণীর যোগাযোগের বাধা দূর করবে।
এটি তৈরি করছে দ্য আর্থ স্পিসিজ প্রজেক্ট। এ সিস্টেমের নাম নেচারএলএম। এটির ডিজাইন এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে প্রাণীদের যোগাযোগের সংকেতগুলো পাঠ করা যায়। মানুষ ও প্রাণিজগতের মধ্যে এর মাধ্যমে ভাববিনিময়ের একটি নতুন দিক খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নেচারএলএম এরই মধ্যে প্রাণিজগতের কিছু প্রজাতির ‘ডাক’ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রাণীদের শব্দের ধরন বিশ্লেষণ করে জানা যাচ্ছে, তারা বিরক্তি প্রকাশ করছে, নাকি আনন্দ। এই এআই সিস্টেমে বিভিন্ন প্রাণীর শব্দ, সেগুলোর পার্থক্য এবং মানুষের ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একে আরও উন্নত করতে প্রকৃতির অন্য শব্দগুলোর সঙ্গেও পরিচয় করানো হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য, প্রাণীর ডাক বিশ্লেষণ করে মানুষের কাছে তা ব্যাখ্যা করা।
গবেষকদের দাবি, নেচারএলএম এরই মধ্যে বেশ কিছু পাখির ডাক চিনতে শিখেছে এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হয়েছে। পাখির ডাক এবং মোবাইল রিংটোনের মধ্যে পার্থক্যও বুঝতে পারছে। তবে এই প্রযুক্তি এখনো গবেষণার স্তরে রয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই এআই মডেলকে আরও কার্যকরী করতে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গবেষকেরা জানান, মানুষের ভাষা শেখানোর তুলনায় প্রাণিজগতের ভাষা বোঝানো অনেক বেশি জটিল। কারণ, মানুষের ভাষা এবং এর কাঠামোকে একভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হলেও প্রাণীদের ভাষা বা তাদের যোগাযোগের উপায় সম্পর্কে অনেক কিছুই এখনো অজানা। গবেষকেরা বলছেন, বিদ্যমান কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। সে তথ্য কাজে লাগিয়ে এআই মডেলটি আরও সক্ষম হয়ে উঠছে।
সূত্র: এক্সিওস