কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। বড় বড় টেক জায়ান্টরা তাদের বিভিন্ন সেক্টরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ঘটাচ্ছে। ফেসবুক তার মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। স্যামসাং, হুয়াওয়ে, ভিভো প্রভৃতি স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের ক্যামেরা প্রযুক্তিতে ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
অ্যাপল তার প্রসেসর ডেভেলপমেন্টে ব্যবহার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গুগল তার সার্চ ইঞ্জিন আর ইউটিউবে ব্যবহার শুরু করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো প্রতিনিয়তই এ সংক্রান্ত নানারকম খবর মানুষের সামনে পরিবেশন করছে। যেমন সম্প্রতি বিবিসি জানিয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম এআই সিস্টেম তৈরি করেছে গুগলের মালিকানাধীন লন্ডন এআই ল্যাব ডিপমাইন্ড, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার এবং যুক্তরাজ্যে আবহাওয়া গবেষণায় নিয়োজিত সরকারি সংস্থা মিটিওরোলজিকাল অফিসের গবেষকেরা। এই সিস্টেমের নাম ‘নাওকাস্টিং সিস্টেম’। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রচলিত পদ্ধতিতে আবহাওয়ার সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে এই কৃত্রিম প্রযুক্তিভিত্তিক সিস্টেমের ব্যবহার।
এদিকে রয়টার্সের মাধ্যমে জানা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর একাধিক নতুন সার্চ ফিচার আনছে গুগল। ভবিষ্যতে কোনো কিছু সার্চের সময় ছবি, ভিডিও ও টেক্সট একত্রে জুড়ে দিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। নতুন এই সার্চ প্রযুক্তিটি ইন্টারনেটের সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবের ভিডিওতেও অনুসন্ধান চালাতে পারবে। এভাবে সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে অসাধারণ পরিবর্তন নিয়ে আসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ।
অন্যদিকে ম্যাসেজিং প্রক্রিয়াকে গতিশীল করছে ফেসবুকের ব্যবহার করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। আর প্রসেসরের গতি অনবদ্যভাবে বাড়িয়ে চলেছে অ্যাপলের কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তাভিত্তিক নিউরাল ইঞ্জিন প্রসেসরগুলো।
এভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ঘটিয়ে টেক জায়ান্টরা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জীবনে নিয়ে আসছে নানারকম চমক সৃষ্টিকারী পরিবর্তন।