শিশুদের কথা বিবেচনায় রেখে এসেছে নতুন এআই পিনহুইলজিপিটি। নির্মাতাদের দাবি, এই এআই অ্যাপ অনুপযুক্ত কনটেন্ট ব্লক করে দেয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবটগুলো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে বানানো। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে, নতুন এ অ্যাপ শিশুদের এআইয়ের দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে।
পিনহুইল ও চ্যাটজিপিটি যৌথভাবে শিশুদের জন্য নিরাপদ এআই পিনহুইলজিপিটি তৈরি করেছে। সন্তান সফটওয়্যারটিতে কী করছে, মা-বাবা চাইলে তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
পিনহুইলজিপিটির লক্ষ্য ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু। এআই অ্যাপটির মূল কাজ হচ্ছে নির্দিষ্ট বয়সের উপযোগী করে বাজে লিঙ্ক ও ছবি এড়িয়ে সাধারণ এবং সহজে বোঝা যায় এমনভাবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। এই চ্যাটবটে সন্তানের চ্যাট পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে মা-বাবা সন্তানের কৌতূহল সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন এবং প্রয়োজনে শিশুকে বিভিন্নভাবে সংশোধন করার সুযোগ তো থাকছেই।
পিনহুইলের সিইও উইটব্যাক বলেন, ‘চ্যাটজিপিটির সমন্বয়ে আমরা মজার এবং শিক্ষামূলকভাবে আজকের শিশুদের জন্য নতুন ধারার এআই পিনহুইলজিপিটি নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমে শিশুরা ইন্টারনেট থেকে নিরাপদ ও বয়স অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। শুধু শিশুরাই নয়, নিজের শিশু কী করছে এবং কখন ও কোথায় তাদের থামতে হবে, সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে মা-বাবাও এআইয়ের দুনিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারবেন।’
অনেক সময় দেখা যায়, শিশুরা কিছু বিষয় বুঝতে পারে না। মানুষ বা শিক্ষকের কথা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেক শিশু গণিত ভালো বোঝে না। কারণ, জটিল বিষয়গুলো শিক্ষকেরা সহজ করে বোঝাতে পারেন না। আবার কিছু বই আছে, যেগুলো শিশুদের উপযোগী করে তৈরি নয়। এসব ক্ষেত্রে পিনহুইলজিপিটি এআই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শিশুরা বইয়ের যেকোনো একটি অনুচ্ছেদ বা অঙ্ক এই চ্যাটবটে রেখে সহজ করে বুঝিয়ে দিতে বললে, অ্যাপটি তা করে দেবে।
প্রযুক্তিবিদ মাইক কিংয়ের মতে, ‘এআই শিশুদের বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে এবং শিশুদের মজার মাধ্যমে শিখতে সহায়তা করতে পারে।’ তাঁর নিজের সন্তানেরা তাদের মাকে অফিসের সময়ে এআইভিত্তিক ‘স্পিচ টু টেক্সট’ প্রযুক্তির মাধ্যমে বার্তা আদান-প্রদান করে।
শিশুকে নিরাপদ রাখতে
সূত্র: লাইফওয়্যার