স্মার্টওয়াচের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ছোট-বড় সবাই ঝুঁকছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচে। কেউবা নিতান্তই শখের বসে, কেউবা আবার প্রয়োজনে ব্যবহার করছে স্মার্টওয়াচ। বেশির ভাগ স্মার্টওয়াচেই স্বাস্থ্য, স্পোর্টস সম্পর্কিত ফিচারের সঙ্গে আছে জিপিএস ও ব্লুটুথ কলিং সুবিধা। তবে স্মার্টওয়াচ কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। নিচে এ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো—
১. স্বাচ্ছন্দ্যে পড়া যাচ্ছে কি না
স্মার্টওয়াচ কেনার সময় প্রথমেই ক্রেতার দেখা উচিত এটি স্বাচ্ছন্দ্যে পড়তে পারছেন কি না। হাতে স্মার্টওয়াচ ঠিকভাবে ফিট হচ্ছে কি না সেটাও দেখে নেওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় স্মার্টওয়াচ খুব ভারী হয়ে গেলে পরতে অসুবিধা হয়। এ ছাড়া, যাদের হাত অনেক বেশি ঘামায়, তাদের সুবিধাজনক বেল্ট দেখে নেওয়া উচিত।
২. স্মার্টফোনে সংযোগ ঠিকঠাক হচ্ছে কি না
কেনার সময় অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে এটি ক্রেতার স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট করা যাচ্ছে। ক্রেতার স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট হয় এমন স্মার্টওয়াচ কেনা উচিত। না হলে এটিকে সাধারণ ঘড়ির মতো ব্যবহার করতে হতে পারে ব্যবহারকারীকে।
৩. প্রয়োজনীয় ফিচার আছে কি না
প্রায় সব ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচেই এখন একাধিক ফিচার থাকে। তবে অনেকেই বিশেষ সুবিধার কথা ভেবে স্মার্টওয়াচ কেনেন। তাই কেনার আগে ভালোভাবে স্মার্টওয়াচে সেই ফিচার আছে কিনা এবং ভালোমতো কাজ করছে কিনা দেখে নেওয়া ভালো।
৪. ফিচার ঠিকঠাক কাজ করছে কি না
স্মার্টওয়াচে যে ফিচারগুলো রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য সেটা যাচাই করে নেওয়া উচিত। চাইলে ক্রেতা আগে ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে রিভিউ দেখে নিতে পারেন। হেলথ ফিচারের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
৫. ওয়াটারপ্রুফ কিনা
স্মার্টওয়াচ কেনার সময় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি দেখা উচিত তা হচ্ছে— স্মার্টওয়াচটি ওয়াটারপ্রুফ কি না। যেহেতু স্মার্টওয়াচটি নিয়মিত পড়া হবে, সে ক্ষেত্রে এতে বিভিন্ন উপায়ে পানি লাগার সম্ভাবনা থাকবে। তাই, এই সুবিধা না থাকলে ওই স্মার্টওয়াচ না কেনাই ভালো ।
৬. ব্যাটারি
একবার চার্জ দিলে স্মার্টওয়াচে কতক্ষণ চার্জ থাকে, কোন মোডে ব্যাটারি লাইফ কেমন, স্ট্যান্ডবাই টাইম কত, স্মার্টওয়াচের ব্যাটারিতে চার্জ দিতেই বা কত সময় লাগে— এগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।