আগামী জুনে আয়োজিত হবে অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্স ২০২৩। প্রতিবারের মতো এবারের আয়োজনেও একাধিক নতুন পণ্যের প্রদর্শনী ছাড়াও ভবিষ্যতের পণ্য নিয়ে ঘোষণা আসবে। এবারই দেখা যাবে অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত পণ্য 'মিক্সড রিয়্যালিটি হেডসেট'।
নাইনটুফাইভ ম্যাকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবারে আয়োজনে সবচেয়ে বড় চমক অ্যাপলের মিক্সড রিয়্যালিটি হেডসেট। সপ্তাহব্যাপী এই কনফারেন্সে এই হেডসেটের ব্যবহার দেখানো হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন এই পণ্য প্রথমে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ না করলেও এটি ভবিষ্যতে আইফোনকেও পাল্লা দেবে। হেডসেটটি বাজারে আসবে সেপ্টেম্বরে।
অ্যাপলের হেডসেটে একই সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি এবং অগমেন্টেড রিয়্যালিটির অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারীরা। এরই মধ্যে অপারেটিং সিস্টেমের নাম পরিবর্তন করেছে অ্যাপল। এর আগে হেডসেটে ব্যবহার করা অপারেটিং সিস্টেমের নাম ‘রিয়্যালিটি ওএস’ থাকলেও তা পরিবর্তন করে ‘এক্সআর ওএস’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন নামটিতে ‘এক্স’ (এক্সটেনডেড) দিয়েছে বোঝানো হয়েছে ‘বিস্তৃত’।
হেডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাক-লেভেল এম ২ চিপ। ডিভাইসটির ভেতরে এবং বাইরে ১০ টিরও বেশি ক্যামেরা রয়েছে। এ ছাড়া হেডসেটটিতে বাজারে থাকা যে কোনো হেডসেটের চেয়ে বেশি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে রাখছে অ্যাপল। দুটি ৪কে প্রযুক্তির মাইক্রো ওএলইডি ডিসপ্লে রয়েছে হেডসেটটিতে।
হেডসেটটির জন্য মেটাভার্সের আদলে একটি ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল দুনিয়া বানানোরও পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। তবে অ্যাপল এটিকে মেটাভার্সের সঙ্গে তুলনা দিতে নারাজ। অ্যাপলের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান গ্রেগ জোসওয়াক বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে মেটাভার্স শব্দটি আমি কখনোই ব্যবহার করব না।’ একটি ত্রিমাত্রিক ভিডিও সেবাও চালুর পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। এর মাধ্যমে হেডসেট ব্যবহারকারী ত্রিমাত্রিক ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন।
অ্যাপল এই হেডসেট প্রকল্পের জন্য এখন কর্মী নিয়োগে ব্যস্ত। ২০২১ সালের প্রথম দিকে কোম্পানি ছেড়ে যাওয়া এক প্রকৌশলীকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। হেডসেটটির দাম দুই থেকে আড়াই হাজার ডলারের মধ্যে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।