Ajker Patrika
হোম > প্রযুক্তি > গ্যাজেট

ফ্রিজ কেনার আগে

মিহিকা মৌরিন

ফ্রিজ কেনার আগে

শহর কিংবা গ্রাম—ফ্রিজ এখন আর বিলাসিতার জিনিস নয়; প্রয়োজন। ফ্রিজ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে খাবার রক্ষা করে ও সতেজ রাখে। ফ্রিজ কেনার আগে এর বিভিন্ন ধরন, সুবিধা-অসুবিধা, দাম ও বিক্রয়োত্তর সেবার আদ্যোপান্ত জেনে নেওয়া ভালো।

বরফ জমাটবাঁধার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিজ দুই রকমের হতে পারে—ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট। দুটোরই সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। ফ্রস্ট ফ্রিজে খাবার দ্রুত ঠান্ডা হয় এবং বরফ জমে যায়। এর সুবিধা হলো, বিদ্যুৎ না থাকলেও ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত খাবার ভালো থাকে। ফ্রস্ট ফ্রিজ একই সঙ্গে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যায়। ফ্রস্ট ফ্রিজ ব্যবহারের অসুবিধা হলো ডিপ ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। নন-ফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ কম জমবে। আধুনিক ফ্রিজগুলোতে টোটাল নো ফ্রস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তির ভালো দিক হলো, খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি রান্না করা যাবে, ফ্রস্ট ফ্রিজের মতো সময়ের প্রয়োজন নেই। তবে বিদ্যুৎ না থাকলে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি খাবার ভালো থাকে না এবং এতে বিদ্যুৎ খরচ বেশি।

এরপর ফ্রিজের নকশার দিকে নজর দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শুরুতেই ফ্রিজ রাখার জায়গা ও ক্যাপাসিটি নিয়ে ভাবতে হবে। সাধারণত সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে টপ ফ্রিজার মডেলগুলো, যেখানে ফ্রিজের ওপরের অংশটি ডিপ থাকে। প্রায় সব ফ্রিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এই নকশার বেসিক কিছু মডেল তৈরি করে। এখন এর সঙ্গে আরও কয়েক ধরনের ডিজাইন দেখা যায়, যেমন সাইড বাই সাইড, ফ্রেঞ্চ ডোর ও বটম ফ্রিজার। এসব ফ্রিজে খাবার ভালো রাখা এবং ব্যবহারের সুবিধার্থে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি, যা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে কাজ করে।

ব্র্যান্ড ও প্রযুক্তির ওপর ফ্রিজের 
দরদাম নির্ভর করে। ওয়ালটন, স্যামসাং, ট্রান্সটেক, ওয়ার্লপুল, এলজি, সনি-র‌্যাংগসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বাজার ঘুরে পেয়ে যাবেন। ঈদ সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানগুলো 
বিভিন্ন ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার দিয়ে থাকে। তা ছাড়া কিস্তিতেও ফ্রিজ কেনার সুযোগ পাবেন। 
ফ্রিজ যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে, তাই এটি নিঃসন্দেহে বাড়ির বেশি ব্যবহৃত গ্যাজেটগুলোর একটি। কিছুদিন পরপর এর যত্নে কিছু সময় ব্যয় করলে হঠাৎ ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মনে রাখতে পারেন। 

  •  ফ্রিজের দরজা খুব দ্রুত খোলা বা বন্ধ করা এবং বেশিক্ষণ খুলে রাখা উচিত নয়। প্রতিবার দরজা বন্ধ করার সময় খেয়াল করে নিন, ঠিকমতো লেগেছে কি না। 
  • শীত বা গ্রীষ্মকালভেদে সঠিক তাপমাত্রা ব্যবহার করতে হবে।
  • খাবার সংরক্ষণের সময় ঠিক জায়গায় রাখুন এবং সব খাবার সতেজ রাখতে কনটেইনারে রেখে ঢাকনা ব্যবহার করতে পারেন। 
  • ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনলে মাঝে মাঝে বরফ পরিষ্কার করে নিন। মাসে অন্তত এক দিন কানেকশন বন্ধ করে, ফ্রিজের সবকিছু বের করে কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নিন।
  • একদম দেয়াল ঘেঁষে ফ্রিজ না রাখা ভালো। এ বিষয়গুলো নিয়মিত খেয়াল রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে ফ্রিজ।
  • ফ্রিজ কেনার সময় ওয়ারেন্টি, সার্ভিসিং ইত্যাদি সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিন।

সূত্র: ডিজাইনার অ্যাপ্লায়েন্সেস, অনসাইটগো, ক্লেভার কনজ্যুমার

পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫, কম দামে অনন্য ফিচার

টানা ৮ বছর সফটওয়্যার আপডেট মিলবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে

শুরু হলো হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৫

বিশ্ববাজারে প্রথম ভাঁজযোগ্য তিন ডিসপ্লের ফোন আনল হুয়াওয়ে

পরিবেশবান্ধব ১০ গ্যাজেট

দেশে অপো রেনো ১৩ সিরিজ, পানির নিচেও হবে ছবি–ভিডিও ধারণ

এখনকার সেরা ভিআর গ্যাজেট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিত্যক্ত বোমা নিষ্ক্রিয় করতে ডুবুরি রোবট ব্যবহার করছে জার্মানি

অপো রেনো ১৩ সিরিজ আসছে বাংলাদেশের বাজারে

নাথিং ফোন ৩এ মডেলের ছবি ফাঁস, ক্যামেরায় বড় পরিবর্তন