জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর স্টুডিওতে গিয়ে প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো, ওয়াটার মার্ক ইত্যাদি দিয়ে চ্যানেলটি সাজিয়ে নিতে হবে। এরপরই চলে আসে চ্যানেল মনেটাইজেশন করে অর্থ আয়ের প্রক্রিয়া। ইউটিউব চ্যানেল মনেটাইজেশন করার জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে প্রবেশ করতে হবে। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে তা হলো–
১. চ্যালেনের মালিককে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অর্থাৎ বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
২. চ্যানেলে কমপক্ষে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
৩. শেষ ১২ মাসে ইউটিউব চ্যানেলের ৪ হাজার ভ্যালিড পাবলিক ওয়াচ আওয়ার থাকতে হবে। ওয়াচ টাইম হলো– চ্যানেলের ভিডিও কতো সময় দেখা হয়েছে।
৪. চ্যানেলের সঙ্গে একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকতে হবে।
অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলেই মনেটাইজেশনের পথে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন একটি গুগল অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর ও ঠিকানা।
গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলে মনেটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন। এরপর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আবেদন করার ১ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ রিপ্লাই দেবে যে আপনার চ্যানেলটি মনেটাইজেশন হবে কি-না। যদি কারিগরি কোনো ত্রুটি না থাকে এবং আপনার চ্যানেলটি যদি ইউটিউবের নীতিমালা অনুযায়ী হয়ে থাকে তাহলে আপনার চ্যানেলটি অনায়াসেই মনেটাইজেশন পাবে।
মনেটাইজেশনের জন্য মনোনীত হওয়ার পর এবং আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনার ঠিকানায় পিন নম্বর পাঠাবে। পিন নম্বর পাঠানোর চার মাসের মধ্যেই আপনার পিন নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্টের ঠিকানা নিশ্চিত করতে হবে।