টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। তিনি ২০১১ সালে টুইটারে যোগ দেন। ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান হিসেবে। খবর এনডিটিভির।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী পরাগ আগরওয়াল বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির সিইওর মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী। মেটা প্ল্যাটফর্ম ইনকরপোরেশনের সিইও মার্ক জাকারবার্গের বয়সও ৩৭। তবে জাকারবার্গের জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৪ মে। অন্যদিকে পরাগ আগরওয়ালের জন্ম মার্ক জাকারবার্গের জন্মের পর। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণে পরাগ আগরওয়ালের জন্মতারিখ প্রকাশ করেনি টুইটার।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির সিইওর গড় বয়স ৫৮ বছর। বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সিইও পদে তরুণদের চেয়ে বয়স্কদের আধিক্যই বেশি। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক সিইও হলেন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ইনকর্পোরেটেডের ওয়ারেন বাফেট। তাঁর বয়স ৯১।
সিইওদের কর্মদক্ষতা পর্যবেক্ষণে রাখা অধ্যাপক ডেভিড লারকার বলেন, ‘আমার মনে হয় না বয়স কোনো বড় বিষয়, বিশেষ করে এই ধরনের কোম্পানিগুলোতে। এটা একটা বাড়তি সুবিধা হতে পারে।’ স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের এই অধ্যাপক বলেন, ‘ঘটনা হলো ডরসি বোর্ড থেকে সরে যাচ্ছেন, ‘এ কারণে তিনি ছায়া সিইও হবেন না, তার নিশ্চয়ই পরাগ আগরওয়ালের প্রতি সত্যিকার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এক লিখিত বিবৃতিতে ডরসি নিজেই টুইটার থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমার যাওয়ার সময় হয়েছে। তবে আমার পরিবর্তে যিনি আসছেন, তিনি অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী এবং ভালো মনের একজন মানুষ। তিনিই টুইটারকে নেতৃত্ব দেবেন।’
টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি ২০০৬ সালে প্রথম এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হন। ২০০৮ সালে সরে দাঁড়ানোর পর, ২০১৫ সালে পুনরায় টুইটারের সিইওর দায়িত্ব নেন। তিনি অনলাইন পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘স্কয়ার’-এরও সিইও।
অবশ্য গত বছর থেকেই কিছু বিনিয়োগকারী ডরসিকে কোম্পানির দায়িত্ব ছাড়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সিইও হিসেবে একটি কাজে মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।