হোম > আড্ডা

মুহম্মদ আবদুল হাই

সম্পাদকীয়

মুহম্মদ আবদুল হাই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গড়ার অন্যতম কারিগর বলা হয় মুহম্মদ আবদুল হাইকে। এ বিভাগের সিলেবাস তৈরি করা থেকে যোগ্য শিক্ষকদের তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর দ্বিতীয় পরিচয়—তিনি বাংলা ভাষার প্রথম বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি কয়েকটি এলাকার উপভাষা ছাড়াও বাংলা ভাষার সংস্কার, বানানরীতি এবং প্রমিত ভাষা নিয়ে কাজ করেছেন। আবদুল হাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৪৯ সালে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর।

তাঁর জন্ম ১৯১৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানার মরিচা গ্রামে। ছাত্রজীবনের প্রথম দিকে তিনি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে প্রবেশিকা এবং ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। দুই পরীক্ষাতেই তিনি মেধাতালিকায় স্থান করে নেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি পান। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তিনিই ছিলেন বাংলা বিভাগের প্রথম মুসলমান ছাত্র।

তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জে আর ফার্থের অধীনে পিএইচডি গবেষণা করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ‘আ ফনেটিক্স অ্যান্ড ফনোলজিক্যাল অব ন্যাজালস অ্যান্ড ন্যাজালাইজেশন ইন বেঙ্গলি’। এ গবেষণাটি ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। আবদুল হাইয়ের অধীনে পিএইচডি করেছেন নীলিমা ইব্রাহিম, আনিসুজ্জামান ও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

বাংলা বিভাগ থেকে ‘সাহিত্য পত্রিকা’ নামে একটি গবেষণা পত্রিকা বের হয় তাঁর হাত ধরে। এ পত্রিকা নিয়ে সেই সময়ে ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, ‘এমন সুসম্পাদিত মূল্যবান প্রবন্ধ সংকলিত সাহিত্য পত্রিকা পশ্চিমবঙ্গ হইতে একটিও প্রকাশিত হয় না।’

তাঁর প্রথম বই হলো মানবেন্দ্র রায়ের ‘দ্য হিস্টরিক্যাল রোল অব ইসলাম’-এর অনুবাদ গ্রন্থ ‘ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান’। এরপর লন্ডনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন ভ্রমণকাহিনি—‘বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন’।

১৯৬৯ সালের ৩ জুন ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান মুহম্মদ আবদুল হাই।

দ্য স্টারি নাইট

হুমায়ুন আজাদের লেখালেখি

বুড়িগঙ্গার তীরে ছোট কাটরা

কান্তনগরের কান্তজিউ মন্দির

মৃধার মসজিদ নাকি জিনের মসজিদ!

একাত্তর বছর বয়সী স্টেডিয়াম

নাসির আলী মামুন ও পোরট্রেট ফটোগ্রাফি

নওয়াবদের প্রাসাদ আহসান মঞ্জিল

বছরের শেষ রাত, আনন্দের নামে কি আমরা নির্দয়তার দায় বইব?

মণি সিংহ

সেকশন