অনলাইন ডেস্ক
১৭০০ সালের ফ্রান্সে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো প্রকাশ্যে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ত মানুষ। তবে এখানেও ছিল শ্রেণিবৈষম্য! গরিব অপরাধীদের জন্য সাধারণ শাস্তি ছিল কোয়ার্টারিং। কোয়ার্টারিং এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে অপরাধীর চার হাত-পা চারটি গরুর সঙ্গে বাঁধা হতো। এরপর চারটি গরুকে ধাওয়া দিলে যখন এরা তীব্র বেগে ছুটতে থাকত, তখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত শরীর। তবে উচ্চ শ্রেণির অপরাধীরা অর্থের বিনিময়ে কম কষ্টের পদ্ধতি বেছে নিতে পারতেন। তাঁরা ফাঁসি অথবা শিরশ্ছেদ করানোর বিধান কিনে নিতেন।
সে সময় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ব্যবহার করা হতো যে যন্ত্র, সেটির নাম গিলোটিন। ১৭৯২ সালে ফরাসি বিপ্লবের পর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এটি। ১৭৮৯ সালে এক ফরাসি চিকিৎসক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যন্ত্রণামুক্ত শিরশ্ছেদের উদ্দেশ্যে উদ্ভাবন করেন বিশেষ এই যন্ত্র। তাঁর নাম জোসেফ ইগনেস গিলোটিন। তাঁর নামানুসারেই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয় গিলোটিন। ১৭৩৮ সালের আজকের এই দিনে (২৮ মার্চ) ফ্রান্সের সঁতে শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৭৮৯ সালে ফরাসি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন গিলোটিন। তিনি চাইতেন, মৃত্যুদণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হোক। তবে এতে অনেকে রাজি না হওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সমাধান হিসেবে সবার জন্য সমান, দ্রুত ও যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেন তিনি। এর আগেও জার্মানি, ইতালি, স্কটল্যান্ড ও পারস্যে উচ্চবিত্ত অপরাধীদের জন্য শিরশ্ছেদের যন্ত্র ব্যবহৃত হতো। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটি এত বড় পরিসরে আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি।
ফরাসি চিকিৎসক গিলোটিন ও জার্মান প্রকৌশলী টোবিয়াস শ্মিট একত্রে গিলোটিনের প্রথম মডেল তৈরি করেন। শ্মিট বৃত্তাকার ব্লেডের পরিবর্তে আড়াআড়ি তির্যক ব্লেড ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতে শিরশ্ছেদ আরও কার্যকরভাবে করা যায়।
১৮৭০ সালে ছুতার মিস্ত্রি সহকারী জল্লাদ লিওন বার্জার গিলোটিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করেন। তিনি একটি স্প্রিং সিস্টেম যোগ করেন, যেটির সাহায্যে ব্লেডের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া নতুন লক সিস্টেম ও ব্লেড মুক্তির সহজতর পদ্ধতি সংযোজন করেন। এরপরে সমস্ত গিলোটিন বার্জারের নকশা অনুযায়ীই তৈরি হয়।
১৭৮৯ সালে বাস্তিল দুর্গের পতনের মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয় ফরাসি বিপ্লব। ওই বছরের ১৪ জুলাই রাজা ষোড়শ লুইকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। নতুন প্রশাসন সর্বজনীন শিরশ্ছেদ আইন প্রণয়ন করে, যেখানে বলা হয়, ‘প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করা হবে।’ ফলে গিলোটিনে মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে আর ‘শ্রেণিবৈষম্য’ থাকল না!
১৭৯২ সালের ২৫ এপ্রিল নিকোলা জ্যঁ পিলেতিয়ে নামের এক ব্যক্তিকে প্রথম গিলোটিনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। প্লেস দ্য গ্রেভ স্কয়ারে মঞ্চস্থ হয় ওই মৃত্যুদণ্ড।
তথ্যসূত্র: থট কো
১৭০০ সালের ফ্রান্সে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো প্রকাশ্যে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ত মানুষ। তবে এখানেও ছিল শ্রেণিবৈষম্য! গরিব অপরাধীদের জন্য সাধারণ শাস্তি ছিল কোয়ার্টারিং। কোয়ার্টারিং এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে অপরাধীর চার হাত-পা চারটি গরুর সঙ্গে বাঁধা হতো। এরপর চারটি গরুকে ধাওয়া দিলে যখন এরা তীব্র বেগে ছুটতে থাকত, তখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত শরীর। তবে উচ্চ শ্রেণির অপরাধীরা অর্থের বিনিময়ে কম কষ্টের পদ্ধতি বেছে নিতে পারতেন। তাঁরা ফাঁসি অথবা শিরশ্ছেদ করানোর বিধান কিনে নিতেন।
সে সময় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে ব্যবহার করা হতো যে যন্ত্র, সেটির নাম গিলোটিন। ১৭৯২ সালে ফরাসি বিপ্লবের পর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এটি। ১৭৮৯ সালে এক ফরাসি চিকিৎসক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যন্ত্রণামুক্ত শিরশ্ছেদের উদ্দেশ্যে উদ্ভাবন করেন বিশেষ এই যন্ত্র। তাঁর নাম জোসেফ ইগনেস গিলোটিন। তাঁর নামানুসারেই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয় গিলোটিন। ১৭৩৮ সালের আজকের এই দিনে (২৮ মার্চ) ফ্রান্সের সঁতে শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৭৮৯ সালে ফরাসি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন গিলোটিন। তিনি চাইতেন, মৃত্যুদণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হোক। তবে এতে অনেকে রাজি না হওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সমাধান হিসেবে সবার জন্য সমান, দ্রুত ও যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেন তিনি। এর আগেও জার্মানি, ইতালি, স্কটল্যান্ড ও পারস্যে উচ্চবিত্ত অপরাধীদের জন্য শিরশ্ছেদের যন্ত্র ব্যবহৃত হতো। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এটি এত বড় পরিসরে আগে কখনো ব্যবহৃত হয়নি।
ফরাসি চিকিৎসক গিলোটিন ও জার্মান প্রকৌশলী টোবিয়াস শ্মিট একত্রে গিলোটিনের প্রথম মডেল তৈরি করেন। শ্মিট বৃত্তাকার ব্লেডের পরিবর্তে আড়াআড়ি তির্যক ব্লেড ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতে শিরশ্ছেদ আরও কার্যকরভাবে করা যায়।
১৮৭০ সালে ছুতার মিস্ত্রি সহকারী জল্লাদ লিওন বার্জার গিলোটিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করেন। তিনি একটি স্প্রিং সিস্টেম যোগ করেন, যেটির সাহায্যে ব্লেডের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া নতুন লক সিস্টেম ও ব্লেড মুক্তির সহজতর পদ্ধতি সংযোজন করেন। এরপরে সমস্ত গিলোটিন বার্জারের নকশা অনুযায়ীই তৈরি হয়।
১৭৮৯ সালে বাস্তিল দুর্গের পতনের মধ্য দিয়ে সংঘটিত হয় ফরাসি বিপ্লব। ওই বছরের ১৪ জুলাই রাজা ষোড়শ লুইকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠানো হয়। নতুন প্রশাসন সর্বজনীন শিরশ্ছেদ আইন প্রণয়ন করে, যেখানে বলা হয়, ‘প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করা হবে।’ ফলে গিলোটিনে মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে আর ‘শ্রেণিবৈষম্য’ থাকল না!
১৭৯২ সালের ২৫ এপ্রিল নিকোলা জ্যঁ পিলেতিয়ে নামের এক ব্যক্তিকে প্রথম গিলোটিনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। প্লেস দ্য গ্রেভ স্কয়ারে মঞ্চস্থ হয় ওই মৃত্যুদণ্ড।
তথ্যসূত্র: থট কো
খুবই অস্থিতিশীল অবস্থায় আছি আমরা। এই অবস্থাকে বাইরে থেকে মনে হবে আইন-শৃঙ্খলার [পরিস্থিতির] অবনতি। তা তো বটেই। রাষ্ট্রের যে তিনটি অঙ্গ—নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ, তারা কেউই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে না। তবে তার মধ্যে সমাজের আদর্শিক বাস্তবতাও প্রতিফলিত হচ্ছে।
৪ দিন আগেদিনে কোন শব্দটি আপনি সবচেয়ে বেশিবার ব্যবহার করেন? নিঃসন্দেহে ‘ওকে (Ok)’। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এই শব্দটি কিন্তু সহজে ‘জাতে’ উঠতে পারেনি! প্রথমবারের মতো ১৮৩৯ সালের আজকের এই দিনে (২৩ মার্চ) লিখিতরূপে বোস্টন মর্নিং পত্রিকায় প্রকাশিত হয় দুই অক্ষরের।
৯ দিন আগে২১ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ঢাকায় এলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো। তিনি এসে বললেন, ‘সব কুছ ঠিক হো যায়ে গা।’ ২২ মার্চ ভুট্টোর উপস্থিতিতে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক হলো। সবাই ভাবছিল, এইবার বুঝি একটা বোঝাপড়ার দিকে এগোচ্ছে আলোচনা।
১০ দিন আগেআমাদের সাংবাদিকতাকে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চেতনার অনুবর্তী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিবেদিত থাকা উচিত। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকতার এটাই কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে তরুণ সাংবাদিকদের যথার্থ ইতিহাস-চেতনা অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেননা, শাসকশ্রেণির প্রভাবশালী নানা রাজনৈতিক দলের নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূল
১১ দিন আগে