দিব্যি, বেঁচে আছি! এমন অজুহাতে কিছুকাল আয়ুষ্মান হয়ে উঠবো; রঙচঙে জড়ানো মায়া-আবহ ৷ আমাদের এখন ভরা বসন্ত যদিও ৷ তথাপি—সংগ্রামী পথে শাদা শাদা কাশফুল—দুলছে! দেবীর পায়ে বিসর্জিত হচ্ছে রক্তজবা ৷ মা—অভাবেও থালায় ভাতফুল সাজায়! আমরা চেটেপুটে ক্ষুধা খেয়ে নিই জীবনের ৷ একটা অভাব অভাব সংসার যেন নদী হয়ে ওঠে!
রোলকল ডাকছে দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে এবং ইউনিফর্মে ঢুকে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্নবান সন্তানেরা ৷ বৃক্ষে জল দিও; জলের সন্তান ৷ আগমনী দিনে তারকারাজির মতো প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠুক আমাদের সংসারের ছাদ; একটা নতুন আকাশ দেখব ৷
আকাশে তারকার হাসি; চাঁদের ঋণকৃত আলো—একাকার!
পেছনে কেউ ডেকে উঠছে—‘এখনো দিব্যি বেঁচে আছিস!’