হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

রাজশাহীতে বিএনপি দুই পক্ষে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরে ২৭ মার্চ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছিলেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম নেকশার আলী (৩৫)। তিনি উপজেলার রাতৈল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের অনুসারী ছিলেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনার পর দুই পক্ষই থানায় দুটি মামলা করেছিল। এক পক্ষের একজন আজ বিকেলে মারা গেছে। আগে করা মারামারির মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’

২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মফিজের অনুসারীদের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি আজাদ আলীর লোকজনের সংঘর্ষ ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, ওই দিন মফিজের অনুসারীরা রাতৈল বাজারে দুরুল হুদার মুদি দোকানে হামলা চালান। এতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

আজাদের অনুসারী মো. রনি ২৮ মার্চ বলেছিলেন, আগের দিন মফিজ তাঁর বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শরীফ উদ্দিন। এই ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য মুদি দোকানি দুরুলের কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন মফিজ। চাঁদা না দেওয়ার কারণে ইফতারের পর তাঁর দোকানে হামলা করা হয়। এ সময় রনিরা বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

অভিযোগ অস্বীকার করে মফিজ বলেছিলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা না। বিএমডিএর (বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ডিপ (গভীর নলকূপ) নিয়ে গন্ডগোল। আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরের ঘটনা। আমি ওই এলাকায় দুই বছর ধরে যাইনি। আমার কোনো লোকও মারামারিতে যায়নি।’

এর আগে ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শরীফ উদ্দিন। আর প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান। সে দিন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোমিনুল হকের অনুসারীরা প্রধান অতিথিকে বরণ করতে চাইলে বাধা দেন বর্তমান সভাপতি মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা।

তখন দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোমিনুলের ছোট ভাই গানিউল ইসলাম আহত হন। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। ঘটনার জেরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ওই ঘটনার পর জেলা বিএনপি তানোরে ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন না করার নির্দেশনা দেয়। তারপরও ইফতার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তানোরে আরও এক ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

৪৬ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা, পুলিশের বাধা

অবৈধভাবে পাথর তুলছেন আ.লীগ-বিএনপির নেতারা

সরকারি আবাসন বেহাত, ভাড়া গুনছে ভূমিহীনেরা

আপন কফি হাউসে নির্যাতনের শিকার সেই কিশোরীর কোনো খোঁজ নেই

গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার দিনাজপুরে গ্রেপ্তার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল

আশুলিয়ায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিয়ারক্যাপ শাটার ভেঙে সড়কে, যান চলাচল বন্ধ

শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষককে অর্থদণ্ড

বিয়ের দাবিতে নারীর অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ, আহত বিএনপি কর্মীর মৃত্যু

২২ মাস কারাভোগের পর মিয়ানমার থেকে ফিরল ২০ কিশোর-যুবক