এস বাসু দাশ, বান্দরবান
বান্দরবানের লামা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা ঐক্যের ভিত্তিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। পাথর বিলীন হওয়ার কারণে নদী, খাল ও ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে খাওয়ার পানির তীব্র সংকটে পড়ছে পাহাড়িরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড চিলেরতুয়া এলাকায় কাঁঠালছড়া চংবট ম্রোপাড়ার পশ্চিমে মুরুংঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। আর উত্তোলিত পাথরগুলো ট্রাকে করে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। দিনের পর দিন পাথর উত্তোলনের ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সংকটে পড়ছে পাহাড়িরা।
লামার চংবট ম্রোপাড়ার বর্তমান কার্বারি মাংডং ম্রো বলেন, পাথর উত্তোলন হচ্ছে মাস দুয়েক আগে থেকে। কারা উত্তোলন করছেন, এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন তিনি। পরে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কথা বললে আমি ঝামেলায় পড়ব, সবাই প্রভাবশালী।’
অভিযোগ উঠেছে, লামা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল আহম্মেদ হেন্জু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রাসেল ইসলাম, শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন। পাচারের জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ঘনফুট পাথর। বাজারে প্রতি ঘনফুট (কংক্রিট) পাথর বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লামার কাঁঠালছড়া চংবট ম্রোপাড়ার এক ব্যক্তি বলেন, যেভাবে এখান থেকে পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে ঝিরি ও ঝরনাতে আর পানি নেই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে বলেন, ‘পাথর উত্তোলন করছে বলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। কে, কোথায় কী ব্যবসা করছে, তাতে সাংবাদিকেরা মাথা ঘামাবে কেন?’
এ বিষয়ে লামার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল আহম্মেদ হেন্জু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বর্ষায় পাথর উত্তোলনের কারণে আমার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করেছে। সেই মামলা চলমান। বর্তমানে আমি কোনো ধরনের পাথর উত্তোলন করছি না।’
জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী এবং নদীর পার্শ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ঝরনা, ঝিরি ও ছড়া থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের একটি টিম গেছে, শুনানি হয়েছে সম্ভবত। তারপরও পাথর উত্তোলন করলে আমি আবার যাব সেখানে।’
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ পাথর উত্তোলনে তাঁরা বাধা দিতে পারছেন না, বাধা দিলে বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে জেলার লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়েন দেব বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি জানা ছিল না। এ বিষয়ে অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বান্দরবানের লামা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা ঐক্যের ভিত্তিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। পাথর বিলীন হওয়ার কারণে নদী, খাল ও ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে খাওয়ার পানির তীব্র সংকটে পড়ছে পাহাড়িরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড চিলেরতুয়া এলাকায় কাঁঠালছড়া চংবট ম্রোপাড়ার পশ্চিমে মুরুংঝিরি থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। আর উত্তোলিত পাথরগুলো ট্রাকে করে পাচার হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। দিনের পর দিন পাথর উত্তোলনের ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সংকটে পড়ছে পাহাড়িরা।
লামার চংবট ম্রোপাড়ার বর্তমান কার্বারি মাংডং ম্রো বলেন, পাথর উত্তোলন হচ্ছে মাস দুয়েক আগে থেকে। কারা উত্তোলন করছেন, এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন তিনি। পরে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কথা বললে আমি ঝামেলায় পড়ব, সবাই প্রভাবশালী।’
অভিযোগ উঠেছে, লামা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল আহম্মেদ হেন্জু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রাসেল ইসলাম, শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন মিলে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন। পাচারের জন্য স্তূপ করে রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ঘনফুট পাথর। বাজারে প্রতি ঘনফুট (কংক্রিট) পাথর বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লামার কাঁঠালছড়া চংবট ম্রোপাড়ার এক ব্যক্তি বলেন, যেভাবে এখান থেকে পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে ঝিরি ও ঝরনাতে আর পানি নেই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে বলেন, ‘পাথর উত্তোলন করছে বলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়নি। কে, কোথায় কী ব্যবসা করছে, তাতে সাংবাদিকেরা মাথা ঘামাবে কেন?’
এ বিষয়ে লামার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জালাল আহম্মেদ হেন্জু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বর্ষায় পাথর উত্তোলনের কারণে আমার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করেছে। সেই মামলা চলমান। বর্তমানে আমি কোনো ধরনের পাথর উত্তোলন করছি না।’
জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী এবং নদীর পার্শ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ঝরনা, ঝিরি ও ছড়া থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের একটি টিম গেছে, শুনানি হয়েছে সম্ভবত। তারপরও পাথর উত্তোলন করলে আমি আবার যাব সেখানে।’
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ পাথর উত্তোলনে তাঁরা বাধা দিতে পারছেন না, বাধা দিলে বিভিন্নভাবে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হতে হয়।
এ বিষয়ে জেলার লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপায়েন দেব বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের বিষয়টি জানা ছিল না। এ বিষয়ে অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ঝটিকা মিছিল করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একই সময়ে ফতুল্লায় মিছিলের প্রস্তুতির সময় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৩৬ মিনিট আগেরাজধানীর হাতিরঝিল মোড়ল গলিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল কর্মী আরিফ শিকদার (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
৩৯ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন রেজাউল ইসলাম নামের এক যুবক। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
৪০ মিনিট আগেসাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তুসুকা জিনস লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিডেট, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড ও তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড। নোটিশে বলা হয়, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কারখানার...
১ ঘণ্টা আগে