হোম > সারা দেশ > ঢাকা

এবার আপ্যায়নের তোড়জোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত কয়েক দিনে ঈদের কেনাকাটায় বিপণিবিতানগুলোয় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন শেষ প্রস্তুতি হিসেবে সেমাই ও মসলার দোকানগুলোয় ভিড় বেড়েছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাপ্তানবাজারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘বাসায় মানুষ আমরা মাত্র তিনজন। কিন্তু ঈদ মানে তো শুধু নিজেদের খাবার নয়, গেস্টদের জন্যও আয়োজন করতে হবে। তাই সবকিছু একটু বেশি করে নিতে হচ্ছে,’ বলছিলেন গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী আহসান হাবীব। তিনি জানালেন, ঈদের দিন বাসায় সেমাই, পোলাও, গরু, মুরগির মাংসসহ বিভিন্ন পদ রান্না ও চটপটি তৈরির কথা রয়েছে। এসবের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ছিল তাঁর বাজারের ফর্দে।

সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব–পার্বণে স্বজন, পড়শি আর বন্ধুবান্ধবের বাড়ি যাওয়া আগের মতো না হলেও রয়ে গেছে। বাঙালির আতিথেয়তার ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। উৎসবের সময় বাজারের তালিকায়ও এর প্রমাণ মিলবে। সামর্থ্য কমবেশি যেমনই থাকুক, ঈদের দিনে সবাই নানা পদের খাবারে মেহমানদারির চেষ্টা করেন। তাই রমজানের শেষ প্রান্তে এসে ঘরে ঘরে চলছে অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি। বিপণিবিতানের ভিড় কমে গিয়ে বাজারগুলোতে চলছে ঈদের কেনাকাটা। যদিও বেশির ভাগ মানুষ ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়ায় ঢাকার বাজারগুলো বেশ ফাঁকা।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও ও মেরাদিয়া বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা প্রায় সবাই সেমাই আর সুগন্ধী সরু চাল কিনছেন। বিক্রেতারা জানালেন, এবার সেমাইয়ের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। তাই দাম বাড়েনি। ২০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। ২০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম ৪৫-৫৫ টাকা। আর খোলা চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজিতে। খোলা সেমাইয়ের বিক্রি এবার বেশ কম। তাই দামও আগের তুলনায় কম।

বাজারে আসা ক্রেতারা অবশ্য বললেন, এবার ঈদে সেমাইয়ের দাম না বাড়লেও সেমাই রান্না করার উপকরণের দাম অনেকটাই বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। চিনাবাদাম ১৪০-১৬০ টাকা, কাঠবাদাম (অ্যামন্ড) ১,২০০-১,৩০০ টাকা, কাজুবাদাম ১,৬৫০-১,৮০০ টাকা, পেস্তাবাদাম ২,৫০০–২,৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেল। বিক্রেতারা বললেন, ভারত থেকে স্বাভাবিক আমদানি না হওয়ায় বাদামের দাম গত বছরের তুলনায় ‘কিছুটা’ বেশি।

কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের দোকানি বলেন, ‘ইন্ডিয়া থেইকা মাল আসে কম। তাই দাম কয়েক মাস ধইরাই বেশি।’

এবার ঈদে দুধ, চিনি ও সুগন্ধি চালের দাম গত বছরের তুলনায় তেমন একটা বাড়েনি বলে জানান ক্রেতারা। চিনি ১১৫-১২৫ টাকা ও প্যাকেটের গুঁড়া দুধ ৭৪০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায় বাজারে।

ঈদের আগে মুরগির দাম চড়া। গতকাল ঢাকার বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ২০০-২৬০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে অসুস্থ শতাধিক, হাসপাতালে ভর্তি ৭০

গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন খুবি শিক্ষার্থীদের

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে সংগ্রহশালার দাবি

বগুড়ায় থানা থেকে ফেরার পথে আ.লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত

সড়কের পাশে পড়ে থাকা ওষুধের কার্টনে মিলল নবজাতকের লাশ

বরিশালে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনে ৮ টিম, একাংশের আপত্তি

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ঈদের আমেজ কাটেনি, সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

বিকল বাসে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নারী নিহত, হাসপাতালে স্বামী-সন্তান

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, কুমিল্লায় ৯ অটোরিকশাচালককে জরিমানা

চট্টগ্রামে সড়কে ফেলে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার