Ajker Patrika

ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ঈদের আমেজ কাটেনি, সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

ভোলা সংবাদদাতা
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ২৯
হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে রোববার সরকারি অফিস-আদালত খুললেও এখনো ঈদের আমেজ কাটেনি ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের।

রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের অনেক চিকিৎসকের কক্ষেই তালা ঝুলছে। তাঁরা ঈদের ছুটির পর এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি। ফলে রোগীরাও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিন দেখা গেছে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে বহু রোগী সকাল থেকে চিকিৎসকের অপেক্ষায়। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা পাননি।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ২০৪ নম্বর কক্ষের সামনে চিকিৎসকের অপেক্ষা করছেন আবু ছায়েদ নামে ষাটোর্ধ্ব এক রোগী। ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছায়েদ বলেন, ‘পায়ের সমস্যা নিয়ে আমি সকাল ৯টায় হাসপাতালে এসে টিকিট কেটে বসে আছি। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের দেখা পাইনি।’

হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

একইভাবে ওই কক্ষের সামনে শরীর ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে সকাল ৯টা থেকে মেঝেতে বসে আছেন পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের হোমিও চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিল (৩৮)। তিনিও ডাক্তার দেখাতে পারেননি।

চর সামাইয়া ইউনিয়নের বাবুল নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমার আঙুলের ব্যথা নিয়ে সকাল সোয়া ৯টায় এসেছি হাসপাতালে। অথচ ডাক্তার না থাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে হাসপাতালেই অবস্থান করছি।’

শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বৃদ্ধা মারফাজা বেগম (৬০) পায়ে ব্যথা নিয়ে সকাল ১০টায় এসে চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে আছেন। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি।

একই গ্রামের গৃহবধূ আনজু বলেন, ‘আমি জ্বর ও কোমরব্যথা নিয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের দেখা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে চিকিৎসকের অপেক্ষায় রোগীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাইয়েবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ডাক্তারসহ আমাদের একটা মিটিং ছিল। তাই কিছুক্ষণের জন্য হয়তো চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া এই হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটও রয়েছে। তবে এর মধ্যেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত