বরিশালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার অভিযুক্ত কনস্টেবল এনায়েত হোসেন (৪২) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক ইয়ারার হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আদালত থেকে তাঁকে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হুমায়ন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর পুলিশ কনস্টেবল এনায়েত হোসেন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ তিনি জামিনের জন্য ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
মো. হুমায়ন কবির আরও বলেন, ‘হিজলা থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে এ ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। পরে সাময়িক বরখাস্ত হলে তিনি পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিত ওই কিশোরী পার্শ্ববর্তী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। সে সুবাদে হিজলা থানায় কর্মরত থাকার সময় কনস্টেবল এনায়েত হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
২০২০ সালে ১ নভেম্বর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বসবাস করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সুকৌশলে পালিয়ে যায় এনায়েত।
পরে বিয়ে করবে জানিয়ে বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে এনে আবারও ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে গত বছরের ১৪ জুন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করে।