ভোলার লালমোহনের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নিয়েছে জোড়া লাগানো যমজ শিশু। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের ‘লালমোহন ক্লিনিকে’ শিশু দুটির জন্ম হয়। মাথা, হাত-পা আলাদা হলেও পেট জোড়া লাগানো অবস্থায় জন্ম হয় তাদের। মা ও নবজাতকেরা সুস্থ রয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু দুটিকে দেখতে ক্লিনিকে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। লালমোহন উপজেলার উত্তর ফুলবাগিচা গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন ও মিতু বেগমের ঘরে জন্ম নেয় শিশু দুটি।
ক্লিনিকের ম্যানেজার ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিজার সম্পন্ন হয়। গাইনি চিকিৎসক ডা. মুমতাহিনা হক জিমের তত্ত্বাবধানে অপারেশনটি সম্পন্ন হয়। এতে ওই প্রসূতির জোড়া লাগানো শিশু জন্ম হয়। নবজাতক দুটি ছেলে।’
ক্লিনিকের ম্যানেজার আরও বলেন, ‘শিশুটির পিতা-মাতা আগে থেকে যমজ সন্তান জন্ম নেওয়ার বিষয়টি জানলেও তবে জোড়া লাগানো সন্তান হবে এ বিষয়টি তাঁরা কেউ জানতেন না।’ তবে শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা বা বরিশাল নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, যমজ সন্তান জন্ম নেওয়ার পর বাবা-মায়ের হাসি ফুটলেও তাদের চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
চিকিৎসক মুমতাহিনা হক জিম বলেন, ‘অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা সম্ভব। তবে এখনই না। তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু দুটি সুস্থ রয়েছে।’
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর থেকে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছি, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’