বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বরিশাল নগরের সদর রোড রুটে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল আজ শনিবার সকালে বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। পুলিশ সকাল থেকে ৪২টি ইজিবাইক ও রিকশা আটক করে। পরে চালকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করলে শহরে অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে আন্দোলনের মুখে পুলিশ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। ছেড়ে দেওয়া হয় আটক ইজিবাইক ও রিকশা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচলে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যানবহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার ইজিবাক ও রিকশা চালকেরা নথুল্লাবাদ টার্মিনালে জড়ো হয়। পরে বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। চালকেরা দাবি করেন, অযৌক্তিকভাবে সিটি করপোরেশনের ইন্ধনে তাদের পেটে লাথি মারতে চায় পুলিশ প্রশাসন।
ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নতুন নির্দেশনার দোহাই দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিএম কলেজ সড়ক হয়ে সদর রোড জেলখানার মোড় রুটে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়। আটক করা হয় ৪২টি ইজিবাইক ও রিকশা। পরে চালকেরা সংঘবদ্ধ বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে পুলিশ তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং যানবাহন দুটির চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়।’