ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সাত বছরের নাতনিকে নির্যাতনের অভিযোগে দাদি মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ সোমবার পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের চরটিটিয়া গ্রামের মাঝি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মনোয়ারা বেগম ওই এলাকার মো. ইউনুসের স্ত্রী এবং তানিশার দাদি। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ওই শিশুর মা সোনিয়া বেগম থানায় মামলা করেন।
সোনিয়া বেগম জানান, ছয় বছর আগে তানিশার বাবা মো. হারুনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে তানিশা তাঁর কাছে থাকত। দুই মাস আগে মেয়ের দেখভালের কথা বলে বাড়িতে নেন তার বাবা হারুন। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতনের খবর পাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল হারানোর অজুহাতে দাদি মনোয়ারা বেগম তানিশাকে মারধর করেন। চুল ধরে এলোপাতাড়ি মাটিতে আছাড় মারেন। পরে প্লায়ার্স দিয়ে নাতনির ডান হাতের তর্জনী আঙুল টেনে জখম করেন। গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের চিত্র প্রতিবেশীরা মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন। খবর পেয়ে শিশুটির মা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গতকাল রোববার মনোয়ারা বেগম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহিন ফকির জানান, শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে।