Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > বরিশাল

দুদিন পর মুক্তি পেয়ে সেই কিশোর বলল ‘আমাকে যেন হয়রানি না করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

দুদিন পর মুক্তি পেয়ে সেই কিশোর বলল ‘আমাকে যেন হয়রানি না করা হয়’

হাসপাতালে চিকিৎসক ও তাঁর আত্মীয়দের হাতে মার খাওয়া স্কুলছাত্র দুই দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছে সে। তবে জানিয়েছে, ওই ঘটনার বিচার চায় না সে। বরং এখন যেন তাকে আর কোনো হয়রানি করা না হয়—এটুকুই তার চাওয়া। 

ওই কিশোরের নানা শাজাহান রাঢ়ী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় গত সোমবার রাতে তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিবাদ করায় রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কিশোরকে পিটিয়ে পুলিশে দেন চিকিৎসকেরা। একই সঙ্গে কিশোর ও তার খালুর বিরুদ্ধে মামলা করেন চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম। ওই কিশোরের নানা শাজাহান মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

মুক্তি পেয়ে গতকাল সকাল ৯টার দিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে মা জেছমিন আক্তারকে জড়িয়ে ধরে ওই কিশোর। তখনো তার চোখেমুখে ভয়ের চিহ্ন ছিল। সে বলে, ‘আমি শান্তিতে লেখাপড়া করতে চাই। বিচার চাই না, হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।’ 
 
অভিযুক্ত চিকিৎসক তারিকুলের চাচাশ্বশুর বরিশাল সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান। মজিবরের আরেক ভাই ইমনের নেতৃত্বে কয়েকজন ওই রাতে হাসপাতাল এবং থানায় গিয়ে ওই কিশোর ও তার স্বজনদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ওই কিশোর জানায়, দুপুরে নানাকে ভর্তির পর সেবা না পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার খালু জাহাঙ্গীর চিকিৎসকের কক্ষে যান কথা বলতে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসক তারিকুল তার খালুকে থাপ্পড় মারেন। এরপর হাতাহাতির একপর্যায়ে তার খালু পালিয়ে যান। তখন তাকে মুখে, পিঠে লাথি ও ঘুষি মারেন চিকিৎসক। তার মা এসে চিকিৎসকের পা জড়িয়ে ধরলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন তিনি। পরে চিকিৎসকের ৮-৯ জন আত্মীয় এসে ওই কিশোরকে বেদম মারধর করে। হাসপাতালে এক ঘণ্টার মতো আটকে রাখার পর পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। 

ওই কিশোর আরও জানায়, তাকে থানায় নেওয়ার পর সেখানেও চড়াও হন চিকিৎসক তারিকুলের আত্মীয়রা। ইমন নামের একজন তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর খালুকে নিয়ে আস, না হলে প্লাস দিয়ে টেনে জিব ছিঁড়ে ফেলব।’ ইমন আরও বলেন, ‘ভিমরুলের চাকে হাত দিয়েছ। তুই বের হলে ধরে নিয়ে যাব।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই কিশোরকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। হুড়োহুড়িতে পুলিশ তাকে ধরেছে। ওই সময় কে আসামি এবং কে কিশোর, তা বুঝতে পারিনি। তাই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’ 

তিনি স্বীকার করেন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান ও তাঁর ভাই ইমন তাঁর দুই চাচাশ্বশুর।

কৃষিজমির মাটি ইটভাটায় ব্যবহার, দুই লাখ টাকা জরিমানা

নেছারাবাদে সরকারি মালামাল দিয়ে নিজ বাড়ির সামনে লোহার সেতু নির্মাণ

হিজলায় ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

বরিশালে গ্রিন লাইনের চলন্ত বাসে আগুন, প্রাণে রক্ষা ২০ যাত্রীর

পটুয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ৫ বসতঘরসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

হাট-বাজার ইজারা নিয়ে বরিশাল নগর ভবনে দিনভর হট্টগোল, যুবককে মারধর

অনিয়মের অভিযোগ, কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বর্জন আইনজীবীদের

চাষিদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ, তালতলীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, এএসআই আহত

নানার হাত ধরে থাকা শিশু বাসচাপায় নিহত