বরগুনার বেতাগীতে অভিযান চালিয়ে সরকারি ৩ টন (৮৯ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়েছে। বেতাগী বন্দরের হাইস্কুল রোডের একটি গোডাউন থেকে সরকারি বস্তা বদল করে অন্য বস্তায় প্যাকেটজাত করার সময় হাতেনাতে ধরে এসব চাল জব্দ করা হয়।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুহৃদ সালেহীন এ অভিযান পরিচালনা করেন। আজ সোমবার এ ঘটনার তদন্তে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিএম ওলিউল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা এবং খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) রিগান দেবনাথ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বস্তা বদল করে সরকারি চাল অন্য ব্র্যান্ডের বস্তায় প্যাকেট করা হচ্ছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রোববার সন্ধ্যায় ইউএনও মো. সুহৃদ সালেহীন বেতাগী সদর ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মনির হোসেন লাভলুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সরকারি চালের বস্তা থেকে ব্র্যান্ডিং বস্তায় প্যাকেটজাত করা ৩ হাজার ২৭৫ কেজি (৮৯ বস্তা) চাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চাল উপজেলা পরিষদের গোডাউনে জমা রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ডিলার মনির হোসেন লাভলু দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ বাসার একটি ঘরের বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের বস্তায় সরকারি চাল প্যাকেটজাত করে আসছিলেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. মনির হোসেন লাভলু বলেন, ‘ওই চাল ওএমএস কর্মসূচির নয়। স্থানীয় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে টিআর, কাবিখার চাল ক্রয় শেষে তা তাঁর বাসায় বিক্রির উদেশ্যে মজুত করেছি। এত দিন দাম কম থাকার কারণে তা বিক্রি করতে পারিনি।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘জব্দকৃত চাল যে সরকারি চাল তাতে কোনো দ্বিমত নেই। এ ঘটনায় ৩ সদস্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। জব্দ করা চাল উপজেলা পরিষদের গোডাউনে মজুত রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’