ভোলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা বাজারের স্কুল রোডে ছোট একটি চায়ের দোকান নান্নু হোসেনের। প্রতিদিন ফজর নামাজের পর দোকান খোলেন তিনি। দোকান খুলেই প্রায় দু শ পাখিকে দোকানের রুটি, বিস্কুট আর মুড়ি দেন খেতে।
এভাবেই চলছে ৫ বছর ধরে। প্রথমে ২০ / ২৫টি শালিক আসলেও বর্তমানে শালিকের সংখ্যা প্রায় দু শ। প্রতিদিন ভোরে এমন আতিথেয়তার কারণে নান্নুর সঙ্গে শালিকগুলোর বেশ ভাব জমেছে। তাঁর সঙ্গে শালিকদের এমন সখ্য মন কেড়েছে এলাকাবাসীরও।
পাখিদের সঙ্গে এমন দারুণ সম্পর্কের ব্যাপারে নান্নু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ বছর আগে দেখতাম বেশ কিছু শালিক ভোরে দোকানের সামনে বসে থাকে। তখন মাঝে মধ্যে শালিকদের খাবার দিতাম। এরপর থেকে ধীরে ধীরে শালিকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এতে শালিকগুলোর প্রতি এক ধরনের মায়া সৃষ্টি হয়ে যায়। তারপর থেকে নিয়মিত খাবার দিয়ে যাচ্ছি।’
নান্নু মিয়া আরও বলেন, ‘এখন প্রায় দু শ শালিক প্রতিদিন ভোরে আমার দোকানের সামনে আসে। আমি ওই সব শালিকদের খাবার দেই। পাখিগুলোর কিচিরমিচির ডাক সত্যিই ভালো লাগে। এতে মনের মধ্যেও প্রশান্তি মিলে।’
নেচার কনজারভেশন কমিটির (এনসিসি) ভোলার সমন্বয়কারী মো. জসিম জনি বলেন, ‘পাখির প্রতি মানুষের এ ধরনের ভালোবাসা থাকা উচিত। তাহলে পাখি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। পাখি বিভিন্ন ভাবে পরিবেশের উপকারে করে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পাখির প্রতি উদারতা দেখানো।’