আগৈলঝাড়ায় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পতিহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার পুলিশ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০২ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহত হওয়া পতিহার গ্রামের লক্ষ্মীকান্ত সরকার, নীল রতন সোম, কৃষ্ণকান্ত শীল, রজনী ভদ্র, বাসিরাম হালদার প্রমুখের স্মরণে পতিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। গতকাল রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ওই স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে চুরমার করে দেন। আজ সোমবার সকালে স্থানীয় নাট্যব্যক্তিত্ব সন্টু সরকার সকালে হাঁটতে বেরিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙা দেখে স্থানীয়দের জানান। বিষয়টি স্থানীয় গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু থানাকে জানান। খবর পেয়ে আজ সকালেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ‘বিজয়ের মাসের আগেই স্বাধীনতাবিরোধীদের এমন অপতৎপরতা মেনে নেওয়া যায় না। আইনগতভাবে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।