ভোলার লালমোহনে টানা দুই মাস পর মাছ ধরতে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন জেলেরা। আজ রোববার ভোর থেকে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন জেলেরা। দীর্ঘদিন পর ধার দেনা চলা জেলেরা এবার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আশাবাদী।
জানা যায়, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বেকার জেলেরা কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ে লালমোহনের বাতির খাল, সরদার খাল, কাটিরমাথা, বুড়িরদোন, কামারখাল, গজারিয়া খালগড়া, পাংগাশিয়া ও নাজিরপুরের মৎস্য ঘাটের জেলেরা। তাই জাল নৌকা ট্রলার ও বোটসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে রোববার ভোর থেকে চলে গেছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ঘাট থেকে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে চলে যান জেলেরা। এতে সরগরম হয়ে উঠছে মাছের আড়তগুলো। অন্যদিকে বরফকলগুলো আরও সচল হয়ে উঠছে।
লালমোহন মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমোহনে নিবন্ধিত ২১ হাজার ১৭৮ জন। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লালমোহনে মেঘনার ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার বন্ধ ছিল। অভাব অনটনের মধ্যে বেকার সময় কাটানোর পর কোনা বাধা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে তাঁরা নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন। তাই চোখ-মুখে হাসি ফুটেছে জেলেদের। বিগত ২ মাসের ধার-দেনা পরিশোধে পাশাপাশি ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলেও আশাবাদী জেলেরা।
লালমোহন উপজেলার বাতির খাল মৎস্য ঘাট এলাকার জেলে মনির মাঝি বলেন, ‘গত দুই মাস মেঘনা নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ছিল, আমরা কেউ মাছ শিকারে যাইনি। ধার-দেনা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটিয়েছি। আজ ভোরে ছয়জন জেলেসহ মেঘনা নদীতে গিয়ে মাছ ধরে দুপুরে ঘাটে আসছি। ২০ হাজার টাকা মাছ বিক্রি করেছি। লাভের টাকা সবাই ভাগ করে নিয়েছি। এবার পরিবারের জন্য ঈদে কিছু কেনাকাটা করতে পারব।’
গজারিয়া খালগড়া এলাকার জেলে জসিম মাঝি জানান, বেকার সময় কাটানোর পর এখন তাঁরা তেঁতুলিয়া নদীতে যাচ্ছেন। ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পরে নদীতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ পেলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন ভরে আশাবাদী তিনি।
লালমোহন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, টানা ২ মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। এখন আর জেলেদের মাছ শিকারে যেতে কোনো বাধা নেই। আশা করি জেলেরা কাঙ্ক্ষিত মাছ পাবেন।