টানা অতি বৃষ্টিতে কক্সবাজারের চকরিয়া পাহাড়ধসে পড়েছে রেললাইনের ওপর। এতে পাহাড়ের পাদদেশে ১০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গাইনাকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাহাড়ধসে পড়া স্থানে আটকে পড়ে। পরে পাহাড়ধসের মাটি সরিয়ে প্রায় ৮ ঘণ্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ট্রেনের যাত্রী ব্যবসায়ী নিয়ামুল এহেসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলেকে ভর্তি করাতে ঢাকা যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে জানতে পারলাম, চকরিয়ার হারবাং গাইনাকাটা গ্রামে রেললাইনে ওপর পাহাড়ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সেখানে গিয়ে ট্রেন থামে। এরপর রেল বিভাগ এস্কেভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে ৮ ঘণ্টা পর ভোর ৪টার দিকে পর্যটক এক্সপ্রেস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। স্থানটি পাহাড় ও জঙ্গলঘেরা হওয়ায় যাত্রীরা খুবই আতঙ্কে ছিল।’
হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ বলেন, ‘পাহাড়ধসে রেললাইনের ওপর পড়েছে। এতে ১০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এ বিষয়ে চকরিয়া রেলস্টেশনের মাস্টার ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘টানা কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণে হারবাংয়ে একটি পাহাড় রেললাইনের ওপর ধসে পড়ে। এ সময় কক্সবাজার থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ঢাকায় যাচ্ছিল। রাত ৯টার দিকে ট্রেনটি পাহাড় ধসে যাওয়া স্থানে এসে আটকে পড়ে। রেলকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পাহাড়ের ধসে পড়া মাটি রেলপথের ওপর থেকে সরানো হয়। ভোররাত ৪টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।’