Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

জেলা থেকে বিভাগে যাচ্ছেন বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সুজন

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 

জেলা থেকে বিভাগে যাচ্ছেন বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সুজন
সুজন বড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত

সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠা চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া এবার পদোন্নতি পাচ্ছেন। তাঁকে ঢাকা বা চট্টগ্রামে বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন খোদ চট্টগ্রামের বিদায়ী সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। গত ১৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লেখা চিঠিতে এ সুপারিশ করেন তিনি। ওই চিঠিতে সুজন বড়ুয়ার প্রশংসাও করেন ইলিয়াস।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির একনিষ্ঠ সমর্থক সুজন বড়ুয়াও চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে যেতে আবেদন করেন। নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন—উল্লেখ করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করেন তিনি। আবেদনে তিনি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে কক্সবাজার অথবা নোয়াখালীতে বদলি করার জন্য অনুরোধ করেন। এদিকে সুজনের করা আবেদনের বিষয়টি জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের ভাষ্য, সুজনের দুই জন্মনিবন্ধন ও ভুয়া নাগরিকত্ব সনদ। একই সঙ্গে সরকারি দুই চাকরি করেন। এসব বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সুজনের নানা অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

সুজনের অনিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চার পৃষ্ঠার চিঠি দেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক। চিঠিতে ১৯ পৃষ্ঠার সংযুক্তি কাগজপত্র পাঠানো হয়। সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে জানিয়ে সুজনকে নতুন করে পদায়ন না করতে সুপারিশ করা হয় ওই চিঠিতে।

সুজন বড়ুয়ার বিষয় জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক অংসুইপ্রু মারমা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

সুজনের দুই চাকরির বিষয়ে ২০২২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) অনুসন্ধান প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সুজন বড়ুয়া ২০০৪ সালে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে চাকরি নেন। এ সময় তাঁর স্থায়ী ঠিকানা দেখান কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং গ্রাম। ওই গ্রামের বিমল চন্দ্র বড়ুয়া ও প্রীতি রানী বড়ুয়ার ছেলে তিনি। এ চাকরিতে থাকাকালে ২০১২ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম বড়ুয়াপাড়ার বাসিন্দা পরিচয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে আরেকটি চাকরি নেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ চাকরিতে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যে সুজনের ভুয়া নাগরিকত্বের ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। যোগদানের মাত্র তিন মাসের মাথায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) নিয়ে চলে যান বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে যান বান্দরবান জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে। পরে বদলি নিয়ে বান্দরবান থেকে ফেনী পাড়ি দেন তিনি। এখানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের বেতনে (নিজ বেতনে) পদায়ন হন জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক পদে।

ছেলের সাফল্যে বাবার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী সেতু গ্রেপ্তার

ছাত্রদলের ৯ সদস্যের কমিটিতে ৭ জনই নারী

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ভিডিপি সদস্য আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

৫ আগস্ট চট্টগ্রামে থানা লুটের রিভলবারসহ দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের কুতুবদিয়ায় সংবর্ধনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি: হাইওয়ে থানার ওসি প্রত্যাহার

স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, প্রবাসী গ্রেপ্তার

মিয়ানমারের সংঘাতে সীমান্তে স্পর্শকাতরতা বৃদ্ধি পেয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা