বন্দরে বে টার্মিনাল নির্মাণ
চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় প্রকল্প বে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ নতুন করে গতি পাচ্ছে। ব্রেকওয়াটার, নেভিগেশন অ্যাকসেস চ্যানেল তৈরি এবং রেল ও সড়ক সংযোগসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের মতো বড় তিনটি কাজকে একটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিটিএমআইডিপি) নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে, বিটিএমআইডিপি প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে বেশির ভাগ জোগান দেবে বিশ্বব্যাংক। বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বে টার্মিনালের চ্যানেল এবং ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করার জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এই ঋণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বে টার্মিনালের সঙ্গে রেল ও মহাসড়কের সংযোগ স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক নতুন করে ১৯ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ দেবে।
বে টার্মিনাল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে।
বন্দর সূত্র বলেছে, বে টার্মিনাল প্রকল্পে তিনটি অংশ রয়েছে। আপাতত তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে দুটি কনটেইনার টার্মিনাল এবং একটি মাল্টি পারপাস টার্মিনাল নির্মাণ, ব্রেকওয়াটার ও অ্যাকসেস চ্যানেল নির্মাণ, রাস্তা ও রেল সংযোগ সড়ক, ড্রেনেজ সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক কাজ রয়েছে।
কাজে গতি আনতে বন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন, একই কাজের পৃথক পৃথক প্রকল্পের ফলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় তিনটি বড় কাজকে একই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে গতি আসবে।
বে টার্মিনালের তিনটি বড় কাজকে একত্রে সন্নিবেশিত করে তৈরি করা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) ইতিমধ্যে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা জানিয়ে বলেছেন, ডিপিপি অনুমোদনের পরপরই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এ বিষয়ে বলেন, ‘বে টার্মিনাল নির্মাণে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। কিছুটা সময় লাগলেও এখন দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’